আজ ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

শঙ্কা বাড়াচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক, পাঠ্যবইয়ে প্রসঙ্গ যুক্ত করার প্রস্তাব


অনলাইন ডেস্কঃ দেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার। যার ফলে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স। এমন অবস্থায় দেশের শিক্ষা কারিকুলামের পাঠ্য বইয়ে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ প্রসঙ্গ যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক অধ্যায় যদি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্তি করা সম্ভব হয়, তবে এই বিষয়ে সবাইকে সচেতন করে তোলার বিষয়টি অনেক বেশি কার্যকর হবে।

জানা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কর্মসূচি কার্যকর হয়েছিল ১২ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ সম্পর্কে জানানোয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর সফলতা এসেছে ৩৫ শতাংশ। অন্যদিকে সেবাদানকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সফলতা পাওয়া গেছে মাত্র ৬ শতাংশ।
প্রতিবছর সারা বিশ্বে ২২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের প্রভাবে মারা যায়। এছাড়া ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা ৪৯ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। যার মধ্যে ১২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ সরাসরি রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার কারণেই মারা গেছেন।
ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইউসুফ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে মাল্টিসেক্টরাল ওয়েতে কাজ চলছে। যার মাঝে ওয়ান হেলথ কনসেপ্ট নিয়েও কাজ হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা একটি আইন পাস করেছি। সেই আইন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বিক্রিতে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আইন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যদি শিক্ষা কারিকুলামে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয় তবে আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের বাবা, মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এ বিষয়ে জানাতে পারবে। এর ফলে দ্রুত সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করি।’

সম্প্রতি রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত ‘পাঠ্যপুস্তকে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রসঙ্গ অন্তর্ভুক্তিকরণ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

তথ্যসূত্র: সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর