আজ ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

মহেশখালীতে হাবীব-জয়নাল-কুদ্দুসের লড়াই, সরেছেন ২ প্রার্থী


সরওয়ার কামাল, মহেশখালীঃ ভোটের ক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের মাঝে বাড়ছে উচ্ছ্বাস, বাড়ছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা চষে বেড়িয়েছেন মহেশখালীর আনাচে-কানাচে, গিয়েছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। তবে তাদের প্রত্যাশা-প্রাপ্তির অপেক্ষা করতে হবে ৮ মে (বুধবার) পর্যন্ত।

এবার মহেশখালীতে ভোট লড়াই জমবে বলে ধারণা করছেন উপজেলাবাসী। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী ছিলেন- হাবীব উল্লাহ হাবীব(টুপি), জয়নাল আবেদীন(দোয়াত কলম) গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী(মোটর সাইকেল) সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা (আনারস) তার সন্তান আব্দুল্লাহ আল নিশান (চিংড়ি মাছ)। তবে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শরীফ বাদশা, নিস্ক্রিয় আব্দুল্লাহ আল নিশান। হাবীব উল্লাহ হাবীব জয়নাল আবেদীন ও শরীফ বাদশা ৩ জনের বাড়ী বড় মহেশখালী ইউনিয়নে। আর উত্তরের ৫ ইউনিয়নের ফাঁকা মাঠে একাই ছিলেন গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী। কিন্তু সব হিসাব-নিকাশে পাল্টে গেছে শরীফ বাদশা সরে দাঁড়ানোতে। দক্ষিণের বিশাল ভোট ব্যাংক নিয়ে ২ প্রার্থী। আর উত্তরের ৫ ইউনিয়ন হলে ও আশানুরূপ ভোট কাস্টিং নিয়ে রয়েছে আশংকা। তাই ৩ প্রার্থী এখনো রয়েছেন সমানে সমান আলোচনায়।

ইতোমধ্যে হাবীব উল্লাহ হাবীব, গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী পথসভায় তাদের কর্মী সমর্থক দেখিয়েছেন। অপরদিকে অনেকটা নীরবে মাঠ গুছিয়েছেন মো. জয়নাল আবেদীন। উত্তরের টানে উত্তরের অধিকাংশ ভোট গোলক কুদ্দুস চৌধুরীর পক্ষে গেলে ও হাবীব উল্লাহ ও জয়নাল আবেদীন প্রতি কেন্দ্র থেকে খুচরা ভোট টানবেন। ৩ প্রার্থী হাবীব উল্লাহ হাবীব শ্রমিক সংগঠনের যুক্ত, গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, মো. জয়নাল আবেদীন শিক্ষাবান্ধব সংগঠনের সাথে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন মহেশখালী উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে প্রশাসনের মতবিনিময়

মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৫ জন। তাদের মধ্যে আবু ছালেহ (বই), মিফতাহুল করিম বাবু (মাইক), মঈন উদ্দিন তোফায়েল (উড়োজাহাজ), জাহেদুল হুদা (চশমা) এডভোকেট শাহজাহান পারুল (তালা) মার্কায় পতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে আবু ছালেহ গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন, বাকিরা নতুন।

এবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৩ জন। তাদের মধ্যে কলস প্রতীক নিয়ে মনোয়ারা কাজল আওয়ামী মহিলা লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। প্রজাপতি প্রতীকে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা জাহাঙ্গীর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ফুটবল প্রতীকে মিনোয়ারা মিনু সাবেক ইউপি মহিলা মেম্বার ছিলেন। এদের মধ্যে মনোয়ারা কাজল গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একই পদে নির্বাচন করছেন এবং মিনোয়ারা মিনু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নতুন।

মহেশখালীতে ৮টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা নিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৮ জন।এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮২ এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৭৬ জন। মহেশখালী উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে ৮৬টি কেন্দ্রে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর