অনলাইন ডেস্কঃ জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস আজ। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
স্বেচ্ছায় রক্তদান ও চক্ষুদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির যৌথ উদ্যোগে দেশব্যাপী ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস পালিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, দেশে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ কর্নিয়াজনিত সমস্যার কারণে অন্ধত্ব বরণ করছে। কিশোর- কিশোরী এবং কর্মক্ষম ব্যক্তিবর্গ এই কর্নিয়াজনিত কারণে অন্ধ হচ্ছেন। এই বিপুলসংখ্যক অন্ধ ব্যক্তির চিকিৎসায় পরিবার ও রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো এ বিপুলসংখ্যক অন্ধ মানুষের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়া। আর কর্নিয়াজনিত অন্ধত্বের ক্ষেত্রে মানব কর্নিয়া প্রতিস্থাপনই একমাত্র চিকিৎসা। তাই কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব দূরীকরণে স্বেচ্ছায় রক্তদানের পাশাপাশি মরণোত্তর চক্ষুদানে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, স্বেচ্ছায় রক্তদানসহ মরণোত্তর চক্ষুদানে দেশের তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা কার্যক্রম আরো জোরদার করা আবশ্যক বলে আমি মনে করি। এসব কাজের জন্য তাদের বিশেষ স্বীকৃতি প্রদানের উদ্যোগ নিলে অনেকেই স্বপ্রণোদিত হয়ে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তাই মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসার জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
Leave a Reply