আজ ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

ভোটে অনাস্থা সরকারবিরোধীদের


অনলাইন ডেস্কঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও অনাস্থা প্রকাশ করছে সরকারবিরোধীরা। এরমধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত ও সমাজতান্ত্রিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নির্বাচন প্রসঙ্গে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী পাওয়া গেছে ৪টির। জাতীয় পার্টি, জেপি, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের র্নিবাচনের জন্য মাত্র ৯ জন প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ব্যস্ত সময় কাটছে অন্ত:কোন্দল নিরসনে। ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দলের একাধিক নেতাকর্মী নির্বাচনের টিকেট নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এক্ষেত্রে দলের হাই কমান্ডের নির্দেশনাও অমান্য করতে পিছ পা হচ্ছেন না তারা। দফায় দফায় নির্দেশনা দেয়ার পরেও তৃণমূলের সব জায়গায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মানাতে পারছে না আওয়ামী লীগ। অপরপক্ষে নির্বাচন বয়কট ও ভোটের মাঠে থাকা প্রার্থীদের বহিষ্কার করে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করছে বিএনপি। তৃণমূল নেতাদের অবাধ্যতার এই বাস্তবতা বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি করেছে। নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দিয়ে কৌশলী অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগে মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয়রা এখনো প্রার্থী রয়েছেন। কিছু জায়গায় এমপি সমর্থিত প্রার্থীর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহসই দেখায়নি কেউ। যে কারণে এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ঘটনা ঘটছে।

আরও পড়ুন ৩ উপজেলার ভোট স্থগিত

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টির সভাপতি (চট্টগ্রাম মহানগর) সোলায়মান আলম শেঠ চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে নির্বাচন করুক। আমরা কোনো কিছু বলে প্রতিবাদ করে কোনো লাভ নেই। চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসীরা নির্বাচিত হচ্ছে; ভবিষ্যতেও হবে।’

এদিকে তথাকথিত নির্বাচন বর্জন করতে এবং এ বিষয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি নেতাকর্মীদের এ আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, ‘দেশের ৯৫ শতাংশ ভোটার ভোটের পক্ষে নেই তাই ডামি নির্বাচন বর্জন করুন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জনগণের অধিকার রক্ষার্থে ভোট ডাকাত সরকারের অধীনে বিএনপি কেবল এবারের উপজেলা নির্বাচন নয় ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর