কক্সবাজারে সুধীসমাজের সাথে মতবিনিময়কালে ঐক্য পার্টির চেয়ারম্যান
১০ মার্চ সকাল ১০টায় দেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হাসপাতাল রোডস্থ পার্টি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে সুধীসমাজ ও বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির চেয়ারম্যানের মধ্যে মতবিনিময় সভা জেলা কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী বলেন, রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতায় দীর্ঘ বছর ধরে পরিকল্পনা ও কার্যকর উদ্যোগের অভাবে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে দেশের মাঝারী ও নিম্ন আয়ের জনগণ বাজারে গিয়ে প্রয়োজন মতো জিনিস কিনতে না পেরে পিস হিসেবে ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন-যা দূর্ভিক্ষের পদধ্বনি ছাড়া আর কিছুই নয়। দেশবাসী এগিয়ে না আসলে আসন্ন দূর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব হবে না। রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণে স্বাধীনতার একান্ন বছরে এসে সাংবিধানিক অধিকার হারা জনগণ এখন দূর্ভিক্ষের মুখোমুখি হওয়ায় তারা নিকট ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আৎকে উঠছেন। কোনো দেশ এরকম অবস্থার দিকে ধাবিত হতে থাকলে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে আরো অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন নাশকতা মূলক কর্মকান্ড শুরু করে দেয়, পরপর বিস্ফোরণ তার ইঙ্গিত বহন করছে। দেশ সিরিয়া, লেবানন, আফগানিস্তান হতে শুরু করেছে। দেশের এ অবস্থা দেশবাসীকে মারাত্মকভাবে ভাবিয়ে তুলছে।
রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণে এসব হচ্ছে। তারা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়ে দেশ ব্যর্থ হলে রাজনীতিবিমুখ দেশের জনগণও সব হারাবে। দেশ ব্যর্থ হলে দেশের সকল জনগণও ব্যর্থ হবে। ব্যর্থতায় দেশ যাতে পর্যবসিত না হয় তার জন্য রাজনীতিবিমুখ জনগণ এগিয়ে না আসলে ব্যর্থতার দায়ভার তাদের উপরও বর্তাবে-কেননা দেশ সবার দায়িত্বও সবার। দেশের জনগণ ও দেশকে ব্যর্থ হতে দিতে না চাইলে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র সর্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গিকে দেশের সকল জনগণের মনেপ্রাণে মেনে নেওয়ার কোন বিকল্প নাই।পার্টির চেয়ারম্যান আরো বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে বিবদমান দুই জোট, বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি, হুমকি-পাল্টা হুমকি তথা জিদাজিদি করতে করতে বর্তমানে তারা জিদ এর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থায় উপনীত। তাদের সমঝোতায় আসার কোন সম্ভাবনা আর নেই। তাদেরকে তাদের মতো করে চলতে দিলে অচিরেই তারা দেশকে ধ্বংস করে দিবে। তাদের থামাতে হলে দেশের বাকী ৯৩% জনগণের শীঘ্রই বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র সর্বজনীন ফর্মূলাকে মনেপ্রাণে ধারণ করে ঐক্য পার্টি’র পতাকাতলে একত্রিত হতে হবে এবং তাতেই দেশের মুক্তি মিলবে। এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নুর আলী, প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া, তপন চক্রবর্তী, সাংবাদিক মোস্তফা আলমগীর, আলা উদ্দিন আজাদ, অ্যাডভোকেট শাহ আলম, নাসরিন সুলতানা, ফেরদৌস বেগম, ডা. আবদুল হাই, নওশের আলী, বাবুল তালুকদার, সীমা দাশ, পলাশ উদ্দিন,মোহাম্মদ হাসান ইকবাল, মোহাম্মদ রনি, মোহাম্মদ জাকের, আমজাদ হোসেন চৌধুরী,মুন্না প্রমুখ।
Leave a Reply