আজ ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

৩ উপজেলার ভোট স্থগিত


অনলাইন ডেস্কঃ বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার ভোট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ তিন উপজেলার ভোট করবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। চার নির্বাচন কমিশন, জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১১টা থেকে ৩ ঘণ্টা ব্যাপী নির্বাচন ভবনে সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তিনি জানান, উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে—এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে; চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে।

তিনি বলেন, পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে; আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে। অপরাশেন চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন ষষ্ঠ নির্বাচন: চট্টগ্রাম বিভাগে তৃতীয় ২৫ চতুর্থ ৯ পঞ্চম ধাপে ৮ উপজেলায়

আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল। রুমার ভোট হওয়ার কথা ছিল ২১ মে। এবার প্রথম ধাপে ১৫০টি ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।

প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র হামলাকারী। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যদের ৪টি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। দুদিন পর রুমার একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি।

রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিনেদুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে।

দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর