আজ ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

কবি শঙ্খ ঘোষের কথা মনে আছে?


অনলাইন ডেস্কঃ বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন,

‘একলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি,
… তোমার জন্যে গলির কোণে
ভাবি আমার মুখ দেখাব
মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে।’

আবার কোথাও বিদ্রুপ করে তিনি লিখেছিলেন,

‘আমি তো আমার শপথ রেখেছি
অক্ষরে অক্ষরে
যারা প্রতিবাদী তাদের জীবন
দিয়েছি নরক করে।’

আজ কবির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত বাংলার চাঁদপুরে জন্ম নেওয়া এই বাংলা সাহিত্যের এই নক্ষত্রের প্রয়াণ ঘটে ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল। শঙ্খ ঘোষ তার ছদ্ম নাম, প্রকৃত নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ। সারা জীবন শিক্ষকতা করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গবাসী কলেজ, জঙ্গীপুর কলেজ, যাদবপুর, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড স্টাডিজ (শিমলা), দিল্লি ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে অধ্যাপনা করেছেন তিনি।

তার পিতা মণীন্দ্রকুমার ঘোষ এবং মাতা অমলা ঘোষ। বংশানুক্রমিকভাবে পৈত্রিক বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল জেলার বানারিপাড়া গ্রামে শঙ্খ ঘোষ বড় হয়েছেন। পাবনায় পিতার কর্মস্থল হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর পাবনায় অবস্থান করেন এবং সেখানকার চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলায় কলা বিভাগে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

আরও পড়ুন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

তার প্রায় ৩৫টি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। যার মধ্যে- দিনগুলি রাতগুলি (১৯৫৬); এখন সময় নয় (১৯৬৭); নিহিত পাতালছায়া (১৯৬৭); শঙ্খ ঘোষের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৭০); আদিম লতাগুল্মময় (১৯৭২) মূর্খ বড় সামাজিক নয় (১৯৭৪); বাবরের প্রার্থনা (১৯৭৬); পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ (১৯৮০); শুনি নীরব চিৎকার (২০১৫); এও এক ব্যথা উপশম (২০১৭); সীমান্তবিহীন দেশে (২০২০) উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া তার প্রায় ৪৯টি গদ্যগ্রন্থ, ছোট ও কিশোরদের জন্যে লেখা ২৩টি, পাঁচটি বক্তৃতা কিংবা সাক্ষাৎকার ভিত্তিক সংকলন রয়েছে। তিনি রবীন্দ্র ও সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

তথ্যসূত্র; সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর