আজ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী


অনলাইন ডেস্কঃ জীবনানন্দ-উত্তর যুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৫ সালের ২৩ মার্চ ৬২ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত এবং আলোচিত ছিলেন। ষাটের দশকে যে চারজন কবিকে হাংরি আন্দোলনের জনক মনে করা হয় তাদের মধ্যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় অন্যতম।

১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত ‘তার যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো’ কাব্যগ্রন্থ ইংরেজি এবং মৈথিলী ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

শক্তি চট্টোপাধ্যায় ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার জয়নগরে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা কমলা দেবী এবং বাবা রামনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, যিনি কলকাতার দ্য কাশিমবাজার স্কুল অব ড্রামায় পড়তেন।

আরও পড়ুন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

শক্তি চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কোনো পেশায় দীর্ঘস্থায়ী ছিলেন না। একসময় তিনি দোকানের সহকারী হিসেবে সাক্সবি ফার্মা লিমিটেডে কাজ করেছেন এবং পরে ভবানীপুর টিউটোরিয়াল হোমে (হ্যারিসন রোড শাখায়) শিক্ষকতা করেন। ব্যবসা করার চেষ্টাও করেছিলেন। এবং ব্যর্থ হওয়ার পর একটি মোটর কোম্পানিতে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করেছেন।

১৯৫৬ সালে, শক্তির কবিতা ‘যম’ বুদ্ধদেব বসু প্রকাশিত কবিতা সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি কৃত্তিবাস এবং অন্যান্য পত্রিকার জন্য লিখতে শুরু করেন।

শক্তির প্রথম উপন্যাস ‘কুয়োতলা’, প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘হে প্রেম, হে নৈশব্দ’।
তার বিখ্যাত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, ‘ধর্মে আছো জিরাফেও আছো’; ‘অনন্ত নক্ষত্রবীথি তুমি, অন্ধকারে’; ‘পুরোনো সিঁড়ি’; ‘সোনার মাছি খুন করেছি’; ‘হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান’; ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’; ‘প্রভু নষ্ট হয়ে যাই’; ‘সুখে আছি’; ‘ঈশ্বর থাকেন জলে’; ‘জ্বলন্ত রুমাল’; ‘অস্ত্রের গৌরবহীন একা’; ‘ছিন্ন বিচ্ছিন্ন’; ‘সুন্দর এখানে একা নয়’; ‘আমি ছিঁড়ে ফেলি ছন্দ, তন্তুজাল’; ‘এই আমি যে পাথরে’; ‘কবিতার তুলো ওড়ে’; ‘কক্সবাজারে সন্ধ্যা’; ‘আমাকে জাগাও’।

শক্তি যৌথ কাব্যগ্রন্থও লিখেছিলেন, তার রচিত অনুদিত কাব্যগ্রন্থও রয়েছে বেশ কয়েকটি। এছাড়া ছড়া, ভ্রমণ বিষয়ক গ্রন্থসহ সাহিত্যে নানা শাখায় ছিলো তার অবাধ বিচরণ।

তথ্যসূত্র: সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর