হাটহাজারী প্রতিনিধি
১১ কোটি ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬০ টাকা আত্মসাতের পর সপরিবারে বিদেশে পালানোর সময় চট্টগ্রাম বন্দর থানায় আটক হয়েছে কায়সার মোরশেদ (৩৫) নামে এক যুবক।
শুক্রবার (২ জুন) ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্ৰেশন পুলিশের হাতে আটক হয় সে। পরে চট্টগ্রাম বন্দর থানার একটি ফোর্স তাকে নিয়ে আসে।
আসামি কায়সার মোরশেদ চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়নের আমিন উল্লাহ টেন্ডলের বাড়ির মোঃ শওকত হোসেনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোরশেদ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে আগ্ৰাবাদ রয়েল সিমেন্ট লিমিটেড এ কপোর্রেট সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিলেন। সেই সুবাদে তিনি ঐ কোম্পানির কোডভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মালামাল দিয়ে সেই টাকাগুলো কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেননি। যার পরিমাণ ১১,১৬, ৬৩,৯৬০ (আগার কোটি ষোল লাখ তেষট্টি হাজার নয়শ ষাট) টাকা। পরে গত ১ জুন’২৩ সকাল ১০টার দিকে উক্ত কোম্পানির অডিট চলাকালীন সময় তিনি নানাভাবে সময়ক্ষেপণ করেন। পরে মোরশেদ কৌশলে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রয়েল সিমেন্ট লিমিটেড এর চীফ ম্যানেজার (রিকভারি) মোহাম্মদ আবুল বশর চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায় গত ২জুন মামলা দায়ের করেন। পরে বন্দর থানা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পায় ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরযোগে নেপাল যাওয়ার পথে ইমগ্ৰেশন পুলিশের হাতে আটক হয় মোরশেদ। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করেন সংশ্লিষ্ট থানা।
বাদী সূত্রে জানা গেছে, আসামি মোরশেদ হাটহাজারীর শিকারপুর ইউনিয়নে একটি বিশাল রাজকীয় খামার করে রেখেছে। এছাড়াও আত্মসাতের টাকা দিয়ে শ্বশুরের নামে দেড় কোটি টাকার জায়গা ক্রয় করেন। পাশাপাশি তার স্ত্রীর ভাই সাজ্জাদ মোস্তাফা নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলেও জানান তিনি।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ সনৃজয় কুমার সিনহা বলেন, আসামি কায়সার মোরশেদ সপরিবারে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলে যায়। সেখানে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে সে অবস্থানরত অবস্থায় আটক হয়। পরে আমি সঙ্গিও ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য আদালতে প্রেরণ করি।
Leave a Reply