আজ ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

জলাবদ্ধতা এড়াতে বাড়ইপাড়া খাল খননের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ


অনলাইন ডেস্কঃ আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম যাতে আবারো জলাবদ্ধতার কবলে না পড়ে সেজন্য বাড়ইপাড়া খাল খননের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বুধবার (১৭ এপ্রিল) মেয়র খালটির বহদ্দারহাট অংশসহ অন্যান্য অংশের খনন কাজ সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের কাছ থেকে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন।

এসময় মেয়র নগরীর ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে এ খালটির খনন কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘বাড়ইপাড়া খালের সাথে শুলকবহর, মোহরা, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া ও চাক্তাইসহ ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দার জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তির বিষয়টি জড়িত। এজন্য দ্রুততম সময়ে এ খাল খননের কাজ শেষ করতে হবে।’

আরও পড়ুন কমেছে পুকুর-জলাশয় প্রভাব জলাবদ্ধতা-বন্যায়

এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হারুন অর রশীদ, হাজী মো. ইয়াকুব, মো. সেকান্দর, মো. বেলাল উদ্দিন, হাজী তৈয়ব, মো. ইসমাঈল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি হবে ৬৫ ফুট চওড়া। খালের দুই পার্শ্বে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রাস্তা হবে এবং ছয় ফুট প্রস্তের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। খালটি বাড়ইপাড়া থেকে শুরু হয়ে নূরনগর হাউজিং হয়ে, ওয়াইজপাড়া থেকে বলিরহাটের পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিশবে। এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৯৯৫ সালে করা ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানে নগরীর বহদ্দারহাট থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাড়াইপাড়া খালটি খননের সুপারিশ করা হয়। এর প্রায় দুই দশক পর ২০১৪ সালের জুন মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ খনন প্রকল্প অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হলে ওই এলাকার ২ হাজার ২৬৪ হেক্টর এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর