আজ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কৌশল গ্রহণে ধীরগতি


অনলাইন ডেস্কঃ চলতি বছর দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। রোগটি নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কৌশলপত্র গ্রহণের কার্যক্রমেও নেই আশানরূপ গতি। এজন্য নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবেলায় নাগরিকদের ভূমিকা রাখার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত কয়েকবছরের তুলনায় সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেশি। ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে ৫জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ২০২২ সালে ৪১, ২০২৩ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৫ জনে। সবেচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো চলতি বছর অফ সিজনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘গত কয়েকবছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই এ রোগ শনাক্ত হচ্ছে। চলতি বছর অফ সিজনে মারা গেছেন তিনজন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন ডেঙ্গুতে ১৩ দিন ও ৫ বছরের ২ শিশুর মায়ের অকালমৃত্যু

সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাসকরণ ও চিকিৎসাসেবা সুসমন্বিতকরণ’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাতেও এ ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ও শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

সে সভাসূত্রে জানা গেছে, অতীতের তুলনায় চলতি বছরের শুরু থেকে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গতবছর ২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুতে রেকর্ডসংখ্যক মৃত্যু হয়েছে। এবছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি গত বছরের চেয়ে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে। এজন্য মশা নিধনের ওষুধ সহজপ্রাপ্য করা হবে। জনগণ যাতে সহজে মশার ওষুধ সংগ্রহ করতে পারে সে ব্যবস্থার দিকে এগুচ্ছে সরকার।

সভায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে মূল উপস্থাপনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৮৪৯ জনের। ২০২৩ সালে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন। এ বছর প্রথম আড়াই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি। মশা জরিপেও মশার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা গেছে। মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ না নিলে এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব গত বছরের চেয়ে বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে।’

সভাটিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ছয় বছরমেয়াদি (২০২৪–২০৩০) জাতীয় কৌশলপত্র অনুমোদন করার কথা ছিলো। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তা সভায় উপস্থাপন করা হয়নি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর