আজ ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোছলেম উদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখছেন আলহাজ্ব নুরুল আবছার চৌধুরী

‘কীর্তিমানের মৃত্যু নেই’ : বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিনের স্মরণসভায় বক্তারা


অনলাইন ডেস্কঃ পৃথিবীতে কিছু মানুষ এমনও ছিলেন যারা ইহকাল থেকে প্রস্থান করলেও সভ্যতায় রয়ে যায় তাদের কর্মের ছাপ। দেহের মৃত্যু হলেও কর্মের মৃত্যু হয়না তাদের। মৃত্যুর পরেও এসব কীর্তিমান মানুষের অমর অবদানের কথা মানুষ স্মরণ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মোছলেম উদ্দিন আহমদও ছিলেন তেমনই একজন। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সভাপতির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হল এ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেছেন সংগঠনটির সভাপতি ও পটিয়ার (চট্টগ্রাম ১২) সাংসদ আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। সভা সঞ্চালনা করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মজিবুল হক, শাহাজাদা মহিউদ্দিন, আইয়ুব আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, মোসলেম উদ্দিন মনছুর; সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ আঙ্গুর, আ ন ম টিপু সোলতান, হায়দার আলী রনি; কৃষি সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল আবছার চৌধুরী; বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান; যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক; শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আবসার উদ্দিন সেলিম; স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. তিমির বরণ চৌধুরী; দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া; উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন; উপ-প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের জেলা উপজেলার শীর্ষ ও তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিনের প্রথম প্রয়াণ দিবস আজ

স্মরণ সভায় বক্তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিনের বণ্যাঢ্য জীবনের কীর্তি অধ্যায়গুলো তুলে ধরেছেন। তারা বলেছেন, মোছলেম উদ্দিন কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধা কিংবা রাজনৈতিক সংগঠক ছিলেন না, একাধারে তিনি ছিলেন সুস্থ্য ধারার রাজনীতিবিদ, তাকে আদর্শবাদী রাজনীতির প্রতিষ্ঠানও বলা চলে। এই সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী ছাত্রজীবন থেকে ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায় আগ্রহী ছিলেন। এজন্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন সাহিত্য-শিল্পনুরাগীদের আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। ’৭০ এর দশকে ‘জয় বাংলা’ নামে একটি সাময়িকী তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সাহসী ঠিকানার সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূলধারার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মীর বিয়োগ ঘটেছে। দক্ষিণ জেলাসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে।

এদিন সকালে তাকে স্মরণ করে তার কবর জেয়ারত করেছেন জেলা উপজেলার নেতাকর্মীরা। এছাড়া খতমে কুরআন ও মিলাদ মাহফিলও করা হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর