আজ ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

এলএনজি সংকটে রপ্তানী কমার আশংকা


অনলাইন ডেস্কঃ লিক্যুফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জটিলতায় শিল্পোৎপাদন কমে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়া গ্যাস চালিত যানবাহনেও সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রামে একাধিক শিল্পোদ্যোক্তা বলছেন, গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় লোডশেডিংয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এজন্য কারখানার উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সংকটটির সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে দেশের রপ্তানি খাতে নিশ্চয়ই এর প্রভাব পড়বে।

গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, সহসা এই সংকটের সমাধান হবে না, সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় গড়াবে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (আরপিজিসিএল) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ২০২৩ সালে সারাদেশে ৪ হাজার ২৭৪ ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস (এমএমসিএফডি) গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সংস্থাটি উৎপাদন করেছে ২ হাজার ৩০৬ ঘনফুট। এতে চাহিদার প্রেক্ষিতে ঘাটতি থাকছে ১ হাজার ৯৬৮ ঘনফুট। এ প্রসঙ্গে আগামি বছর ২০২৪ সালের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও ২০২৫ সালের তথ্য-উপাত্ত আরও উদ্বেগজনক। ২০২৫ সালে এমএমসিএফডির চাহিদা থাকবে ৪ হাজার ৩৯৬ ঘনফুট। কিন্তু সে বছর উৎপাদন ঘাটতি থাকতে পারে ২ হাজার ৩৯৬ ঘনফুট।

আরও পড়ুন সহসা হচ্ছে না গ্যাস সংকটের সমাধান, চট্টগ্রামে বাড়ছে লোডশেডিংও

পেট্রোবাংলার দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, চাহিদা মোতাবেক বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করা যাচ্ছে না। চাহিদানুসারে ৭শ’ মিলিয়ন ঘনফুটের বিপরীতে ৬শ’ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করছে পেট্রোবাংলা। এলএনজির নতুন আমদানি চুক্তিতে বিলম্ব হওয়ায় এ সংকট তৈরি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে এ যাবৎ ২১টি প্রতিষ্ঠানের সাথে রাষ্ট্রীয় সংস্থার চুক্তি হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক ২০২০ সাল থেকে এলএনজি আমদানি করছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ৪৮টি কার্গোতে এলএনজি আমদানি করা হয়েছে।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বলছে, চট্টগ্রামে সংস্থাটির মোট গ্রাহক ও সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪। এরমধ্যে গৃহস্থালী সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১। শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলোতে রয়েছে ৪ হাজার ৩৫৩টি সংযোগ। চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৭০ থেকে ৩শ’ মিলিয়ন ঘনফুট। সে হিসেবে ঘাটতি থাকে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। এ কারণে সংস্থাটির গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এতে মাঝে মাঝে বাসা বাড়িতেও জ¦লছে না রান্নার চুলা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারনে নতুন করে টেন্ডার করা যাচ্ছে না।’ তবে শিগগিরই এ সংকট কেটে যাবে বলে আশ^স্ত করেছেন তিনি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর