আজ ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি


চাটগাঁর সংবাদ ডেস্কঃ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প নেই। তাই দক্ষিণ চট্টগ্রামে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি উঠেছে। সম্প্রতি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, চট্টগ্রামের কক্সবাজারে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কিন্তু দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর দাবি হলো, এই অঞ্চলে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হোক।

সেটি কোথায় স্থাপন করলে বেশী সংখ্যক শিক্ষার্থী উপকৃত হবেন? এমন প্রশ্নের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) একটি স্ট্যাটাস (পোস্ট) দিয়েছিলেন চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী। তার সেই প্রশ্নের উত্তরে ২৪৫জন ফেসবুক ব্যবহারকারী মতামত দিয়েছেন। পাঠকদের সুবিধার্থে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মন্তব্য তুলে ধরা হলো।

মো. ইসমাইল তার মন্তব্যে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রামের‌ একমাত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মধ্যস্তত কেরানীহাটের আশেপাশে যে কোন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হলে খুব ভালো হবে। এমনকি দক্ষিণ চট্টগ্রামের যে কোনো উপজেলা থেকে অনায়াসে আসা যাবে, তাছাড়া বাংলাদেশের যে‌ কোন জেলা উপজেলা হতেও‌ গাড়ী বা রেল‌যোগে সহজেই আসা যাওয়া করা যাবে, আমার মতে প্রতিষ্ঠানটি আরকান সড়ক সংলগ্ন ছাড়া অন্য কোথাও স্থাপিত করা ঠিক হবে না।’

আরও পড়ুন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গেজেটভুক্ত করার দাবি

মামুনুর রশীদ তালুকদার লিখেছেন, ‘কর্ণফুলী উপজেলায় হলে শহরের ছাত্র-ছাত্রী ও উপকৃত হবে।’

মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রামের মাঝখানে আনোয়ারায়।’

হুমায়ুন কবির খোকন মন্তব্যে লিখেছেন, ‘দোহাজারী লালুটিয়া ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক প্রস্তাবিত এলাকার আশে পাশে বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে ছাত্র ছাত্রীরা রেলপথে আসা যাওয়ার সুযোগ পাবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জাফর আহাম্মদ চৌধুরী জীবিত থাকলে এতোদিনে উক্ত এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যেত।’

মো. রুবেল মন্তব্য করেছেন, ‘যোগাযোগের সহজ মধ্যভর্তি জায়গা হিসাবে দেওদিঘীকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে বেছে নিলে সবদিক থেকে সবার জন্য সহজ হবে বলে মনে করি।’

জাবেদ হোছাইন লিখেছেন, ‘লোহাগড়া উপজেলার পদুয়া থেকে আমিরাবাদ এরিয়ায় মধ্যে হলে ভালো হয়।’

তৌহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘কেরানীহাট হচ্ছে ড্যাপ এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এটি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ৩ মধ্যবর্তী। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী গুরুত্ব বিবেচনায় নতুন শহর গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।’

আহমেদ রহমান লিখেছেন, ‘প্রায় কমেন্ট করেছেন কেরানিহাট সুতরাং কেরানীহাটই উপযুক্ত জায়গা।’

মো. ফয়সাল লিখেছেন, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রামে লোহাগাড়ার দক্ষিণে চুনতির আজিজনগর এলাকায় অনেক পরিত্যক্ত খাস জায়গা পড়ে আছে।’

ভিপি দেলোয়ার হোছাইন মুনশি মন্তব্য করেছেন, ‘কেরানীহাট এর আশেপাশে রেল লাইন সংলগ্ন মূল সড়ক থেকে একটু দূরে অর্থাৎ সড়ক ও রেল উভয় পথের সহজ যোগাযোগ আছে এমন জায়গা। তাহলে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলার সাথে সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর