আজ ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করছে বিএনপি


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজনীতির মাঠে কোণঠাসা হয়ে পড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সরকার বিরোধী আন্দোলনে নতুন মোড় নিয়েছে। দলটি এখন অভ্যন্তরীন শুদ্ধাচারের জন্য সাংগঠনিক শক্তি প্রয়োগ করছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করা বিএনপি ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনেও অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু দলের কেন্দ্র থেকে দেওয়া নীতি নির্ধারণী পর‌্যায়ের সিদ্ধান্ত তৃনমূলে মানতে চাইছেন না অসংখ্য নেতাকর্মী। এ কারণে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছে বিএনপির হাই কমান্ড। গত এক সপ্তাহে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন প্রায় ৮০ জন নেতা। তাদের অধিকাংশ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হতে চেয়েছেন।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে ৭৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তন্মধ্যে চট্টগ্রামের ৪ জন এবং কুমিল্লার ৮ জনের নাম জানা গেছে।

চট্টগ্রাম থেকে বহিষ্কৃতরা হলেন, বান্দরবান জেলা মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শিরীন আক্তার, আরীকদম উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক রিটন, মহেশখালী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি জাহানারা জাহাঙ্গীর, মহেশখালী উপজেলা যুবদলের সভাপতি জাহাদুল হুদা।

কুমিল্লার বহিষ্কৃতর হলেন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ মোর্শেদ, একই উপজেলার বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ওমরাহ খান,  ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইস্কান্দার, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হানিফ আহমেদ সবুজ, লাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সদস্য মাজহারুল ইসলাম, কুমিল্লা উত্তর জেরা মহিলা দলের সহ-নারী অধিকার বিষয়ক সম্পাদক  হালিমা আক্তার শিমু, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক  দিলারা শিরীন, মেঘনা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রমিজ উদ্দিন লন্ডনী। এছাড়া কক্সবাজার ঈদগাঁও উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজকেও বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বহিষ্কৃত নেতা-নেত্রীরা উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন। বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর‌্যায় জানিয়েছে, ‘বহিষ্কৃতদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ বিএনপির সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন রাজনীতির মাঠে কোণঠাসা বিএনপির অঙ্গসংগঠনেও গ্রুপিং

এ প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতারা উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। উপজেলা নির্বাচন বর্জন বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারণী কমিটি ও জাতীয় স্থায়ী কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি সারা দেশের নেতাকর্মীদের সেন্টিমেন্ট। তিন মাস আগে একটি ডামি নির্বাচন করেছে এ সরকার। এ নির্বাচনেও দেশের জনগণ ভোট দিতে যাবে না, এমনকি বিএনপির কোনো নেতাকর্মী যাবে না।’

এদিকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিলেও সরকার বিরোধী নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যহত রাখা হবে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এজন্য চট্টগ্রামে আবারো সংগঠিত হতে আগামি ৩০ মে দলটির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগরীর সিআরবিতে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এসময় দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সেমিনার আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ শাহাবুদ্দিন রাশেদ, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন সুমন, একরাম হোসেন চৌধুরী সেলিম, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, তানভীর মল্লিক, নজরুল ইসলাম চৌধুরী মাসুম, তানভীর মিল্লক, জাহিদুল হক চৌধুরী (জাকির) মো. ফজলুল করিম, মোহাম্মদ নিশু, মনির হোসেন আবির, শহিদুল আলম রনি প্রমুখ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর