আজ ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কর্ণফুলী উপজেলা ভূমি অফিস

কর্ণফুলীতে এক দলিলে ৩ খতিয়ান


কর্ণফুলী প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম কর্ণফুলী ভূমি অফিসে এক দলিল দিয়ে ৩ খতিয়ান তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মিচ মামলা দায়ের করেছেন জমি বিক্রেতা ইউসুপ মোহাম্মদের ওয়ারিশরা।

নিজের নামে পৃথক তিনটি খতিয়ান সৃজন হলেও এ বিষয়ে জমি ক্রেতা ইউসুপ চৌধুরী কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ২০০৩ সালে সৃজিত খতিয়ান তিনি ভুলবশত করেছেন। ওই দাগের মালিককে জমি ফেরত দেবেন। এজন্য কিছু খরচ চেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে সৃজিত খতিয়ানের বিষয়ে তিনি অবগত নন।

জানা গেছে, কর্ণফুলী উপজেলার ফকিরনীরহাট এলাকায় ইউসুপ মোহাম্মদ ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারি চার গন্ডা জমি বিক্রি করেছিলেন মোহাম্মদ শরীফের পুত্র মোহাম্মদ ইউসুপ চৌধুরীর কাছে। ওই দলিল দেখিয়ে ইউসুপ চৌধুরী চার গন্ডার স্থলে তিন দফায় ১২ গন্ডা জমির মালিকানাসহ তিনটি পৃথক খতিয়ান সৃজন করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দালাল সিন্ডিকেট ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একজনের জমি অন্যজনের নামে খতিয়ান করেন। বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) যোগদানের পর এসব দালালের উৎপাত বন্ধ হয়ে যায়।

ইউসুপের ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, তার পিতা ইউসুপ চৌধুরীর কাছে ৮২ সালে শাহমীরপুর মৌজার ৮৩৭০ দাগে চার গন্ডা জমি বিক্রি করেন। একই দাগে অবশিষ্ট ১০ গন্ডা জমি অন্যজনের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু দলিল মতে ৮৩৭০ দাগে ইউসুপ চৌধুরী ভোগ দখলে থাকলেও ২০০৩ সালে নিজের নামে প্রথম নামজারী করেন একই মৌজার ৮১৪০ দাগে। প্রথম খতিয়ানের তথ্য গোপন করে ২০১৩ সালে আরেকটি নামজারী খতিয়ান সৃজন করেন ৮৩৭০ দাগে। দলিল মতে তিনি ওই দাগেই মূলত চার গন্ডা জমির মালিক হন এবং তাতে তিনি ভোগ দখলে আছেন। কিন্তু এরপরও সবশেষ ২০২১ সালে আগের দুটি খতিয়ানের তথ্য গোপন করে ৭৭১৩ দাগে চার গন্ডা জমির মালিকানা দাবি করে তৃতীয় নামজারী খতিয়ান সৃজন করেন। তিনটি খতিয়ানমূলে ইউসুপ চৌধুরী সম্প্রতি জমির মালিকানা দাবি করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ বিষয়ে ভূমি অফিসে তিনটি নামজারী খতিয়ান বাতিলের জন্য দুই পক্ষ মিচ মামলা দায়ের করেন।

কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী জানান, এক দলিলে তিনগুণ জমি নামজারী করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি মিচ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার প্রেক্ষিতে ৮২ সালের দলিল মতে ক্রেতা ৮৩৭০ দাগে ভোগ দখলে আছেন কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি ওই দাগে ভোগ দখলে থাকলে অন্য দুটি খতিয়ান বাতিলযোগ্য হবে। এছাড়া কার আবেদনে অন্য দুটি খতিয়ান সৃজিত হয়েছে, তা তদন্ত করা হবে।

 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর