আজ ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

‘পৃথিবীর কোনো দেশে সিভিল সার্ভিসের এমন প্রতিযোগিতা নেই’


অনলাইন ডেস্কঃ সিভিল সার্ভিসে যাওয়ার পৃথিবীর কোনো দেশে জন্য এমন প্রতিযোগিতা নেই। বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়ায় সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) জন্য সবাই প্রতিযোগিতা করে।কারণ তারা মনে করে এখানে আসলে ক্ষমতা প্রদর্শন করা যায়, সম্মান পাওয়া যায়। এ ধরনের কালচার পৃথিবীর আর কোথাও নেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের নবীণ বরণ ও ৩৮তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ আলোচনা সভা।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মিরাজ রিহাম ও সাজেদা ইসফাত সামান্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর কুরআন তেলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে নর্বীনদের ফুল দিয়ে বরণ ও বিদায়ীদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

স্বাগত বক্তব্য দেন লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোরশেদুল হক। অতিথি ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারজানা নাসরিন, অধ্যাপক ড. আমীর মুহাম্মদ নসরুল্লাহ, অধ্যাপক ড. কাজী এসএম খসরুল আলম কুদ্দুসী, অধ্যাপক ড. সোনিয়া হক, অধ্যাপক হোসাইন কবির ও অধ্যাপক ড. আফরোজা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ। সমাপনী বক্তব্য দেন লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ।

অধ্যাপক হোসাইন কবির বলেন, সবাই বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে, রাজনীতিতে গিয়ে ক্ষমতাবান হতে চায়, অথচ নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে চায় না। অথচ আমাদের দেশ ও জাতির জন্য অনেককিছু করার আছে। আমরা যদি লোকপ্রশাসন বিভাগকেই শেষ সীমানা মনে করি, তাহলে আমাদের ধারণা ভুল। আমরা বাউন্ডারি দিই যাতে বিশেষভাবে নিজেকে চিহ্নিত করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে এখানেই আমাদের পড়াশোনা শেষ নয়। দুঃখজনক বিষয় হলো সবাই ক্যাডার হতে চায় কিন্তু কেউ উদ্যোক্তা, জ্ঞান, সৃজনশীল প্রজ্ঞাবান হতে চায় না।

আরও পড়ুন ভর্তি পরীক্ষার তারিখ দিয়েছে চবি

অধ্যাপক ড. আফরোজা বেগম বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর আমি এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। লোকপ্রশাসন বিভাগের মতো এমন বন্ধন আমি খুব কম দেখেছি। এ বন্ধন অটুট থাকুক।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের কর্মের ব্যপ্তি শুধু ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে না। বরং তোমরা মানবিক মানুষ হয়ে তোমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা আমাদের।

অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগ যেসব কোর্স এবং ম্যাটেরিয়াল দ্বারা সাজানো হয়েছে আপনারা যদি সেটা যথাযথভাবে অধ্যয়ন করেন, আমার মনে হয় আপনাদের কেউ আটকাতে পারবে না। যারা আজ বিদায় নিচ্ছেন, তাদের বলবো- প্রশাসনের কাজ হলো মানুষকে সেবা দেওয়া। মনে রাখতে হবে, আপনারা যেখানেই যাবেন, আপনাদের মূল লক্ষ্য হবে মানবসেবা।

আলোচনা সভা শেষে কেক কাটেন অতিথিরা। পরে আনন্দ শোভাযাত্রা, কালারফেস্ট ও ফ্লাশমব অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী এ উদযাপন।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ২৪


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর