বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের আসামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এসময় নিম্নচাপ আকারে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে যাচ্ছে ঘুর্ণিঝড়টি। আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে একথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এখন স্থল নিম্নচাপ আকারে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আসামের দিকে চলে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কাটিয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের বৃষ্টি থেমে গেছে। বিভিন্ন স্থানে দু-দিন পর দেখা মিলেছে রোদের।
এদিকে, সিত্রাংয়ের প্রভাব কেটে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ঝড়ের আগে রাত পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে আসার পর পরই লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে ছেড়ে বাড়ি যাওয়া শুরু করে বলে জানায় উপকূলীয় জেলা-উপজেলার প্রশাসন। তবে যাদের বাড়িঘর নিম্নাঞ্চলে এবং প্লাবিত হয়েছে তাদের একটা অংশ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। তবে,অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্রই খালি হয়ে গেছে।
মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের সাত জেলায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে কুমিল্লায় ৩, ভোলায় ২, সিরাজগঞ্জে ২ এবং শরীয়তপুর, বরগুনা, নড়াইল ও ঢাকায় একজন করে রয়েছেন।
Leave a Reply