আজ ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে


আব্দুল্লাহ আল মারুফ চট্টগ্রাম নিজস্ব প্রতিবেদক >>>
চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম মহানগরের শাহ আমানত সেতু এলাকায় অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের ওপর চড়াও হয় এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
সরেজমিনে দেখা মিলে,আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে কোনো যানবাহন ঢাকা থেকে বের হতে পারছে না এবং ঢুকতেও পারছে না। এমনকি রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেলও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অনেক মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।জন চলাচল গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে বাধ্য হয়ে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। (১৮ ‍জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময়  চট্টগ্রাম শাহআমানত সেতু এলাকায় জড়ো হয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা।এর আগে বুধবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার সদর থেকে  থেকে বের হয়।
বিক্ষোভ কারিরা কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দোহাজারী পৌর-সদরের প্রধান প্রধান সড়ক ও দেওয়ানহাট পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দোহাজারী জামিজুরী আ. রহমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মিলিত হয়।মিছিল চলাকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় আধ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস.এম.শফিউল্লাহ ভোরের ডাক প্রতিবেদককে মেট্রো ফোনে বলেন। কোটা আন্দোলন শুরু থেকে এই পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর কোন হামলা করেনি।বর্তমানে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে জান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষের জানমাল নিরাপত্তায় আমাদের সকল থানার পুলিশ সতর্ক রয়েছে যেকোনো পরিস্থিতি আপত্তিকর ঘটনা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে।বাকুলিয়া থানার শাহ আমানত সেতুর পাশে বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।পরে বাকলিয়া থানার ওসিকে  একাধিক ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।পরে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আশরাফুল আলম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা অবস্থান নেওয়ার তথ্য আছে।এ জন্য নাশকতা এড়াতে পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়েছে।জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আন্দোলনকারী একাধিক শিক্ষার্থীর দাবি, শিবির আখ্যা দেওয়া এটা পুলিশের পুরনো নাটক। দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা সেখানে জড়ো হয়েছেন।আন্দোলনে হামলা ও শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনার বিচার চান তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর