আজ ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

ফের চাঙ্গা ঈদ অর্থনীতি, চট্টগ্রামে বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার


অনলাইন ডেস্কঃ ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির আঘাতের পর বেশ কয়েক বছর ঈদ ব্যবসায় প্রত্যাশিত মুনাফার দেখা পাননি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। তবে চলতি বছর ঈদ অর্থনীতি ফিরেছে পুরোনো রূপে, আবারো চাঙ্গা হয়েছে বাজার। চট্টগ্রামে এ বছর ঈদ বাজারের আকার ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বলছেন, সারাবছর এ মাসটির দিকে চেয়ে থাকেন তারা। রোজা শুরুর আগে থেকেই বেচা-বিক্রি আরম্ভ হয়। এসময় পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি বেশি হলেও খুচরা ক্রেতারও ভিড় থাকে। চট্টগ্রামে পোশাকজাতীয় পণ্যের পাইকারী বাজার গুলোর মধ্যে অন্যতম টেরীবাজার ও রেয়াজউদ্দিন বাজার। ঢাকাসহ দেশ বিদেশের পাইকারি মোকাম থেকে পণ্য আনা হয় এ দু’টো বাজারে। আর এখান থেকে প্রতিবছর রোজার আগে চট্টগ্রাম বিভাগের কমপক্ষে ৫ থেকে ৬টি জেলার উপজেলা-ইউনিয়নে পাইকারিতে নেওয়া এসব পণ্য।

চট্টগ্রাম মহানগরে খুচরা বিক্রির জন্য এসি-নন এসি মিলিয়ে অর্ধশতাধিক শপিং সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে আফমি প্লাজা, স্যানমার ওশান সিটি, বালি আর্কেড, মিমি সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, ইউনেস্কো টাওয়ার, অলংকার কমপ্লেক্স, আখতারুজ্জামান সেন্টার, বে শপিং কমপ্লেক্স, সিঙ্গাপুর মার্কেট, লাকী প্লাজা, ষোলশহর শপিং কমপ্লেক্স, রেয়াজউদ্দিন বাজার, তামাকুমন্ডি লেইন, জহুর হকার মার্কেটসহ সবগুলো বিপণন কেন্দ্রে বিক্রি বিগত তিন বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়েছে।

আরও পড়ুন ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মিলবে ট্রেনে ঈদযাত্রার ফিরতি টিকেট

উপরোল্লিখিত মার্কেট গুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে একচ্ছত্র ব্যবসা করছে আড়ং। নগরীর ষোলশহরে অবস্থিত বিমান অফিস সংলগ্ন প্রতিষ্ঠানটির শো-রুমে ক্রেতাদের এতটাই ভিড়, সেখানে পা ফেলার উপক্রম নেই। এবার গরমকালে ঈদ হওয়ায় বিক্রি বেড়েছে এসি-ফ্রিজ, রিচার্জেবল ফ্যানসহ ইলেকট্রিক পণ্যের।
নাগরিকরা বলছেন, ঈদ বাজারের মন্দা কাটিয়ে আবারো ব্যবসায়িক ফর্মে ফিরেছে চট্টগ্রাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারি-খুচরা মিলিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ও আশপাশে প্রায় ৩ লাখের মতো দোকান রয়েছে। এসব দোকানে পোশাক, জুতা, কসমেটিকস, বেল্ট, লুঙ্গি, টুপি, আতর, বোরকা, পর্দা, বেডসিটসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী বিক্রি হয়।

এবার ঈদে প্রতিবারের মতোই বাহারি সাজে সেজেছে সবগুলো মার্কেট। স্থায়ী কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য নগরীর জিইসির মোড়ে অস্থায়ী বিপণন কেন্দ্রও খোলা হয়েছে। সেখানেও বিক্রি-বাট্টা হচ্ছে জম্পেশ। এছাড়া নগরীতে ২০ হাজারের বেশি ভাসমান ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা সড়কে ভ্যানে ঈদ সামগ্রী বিক্রি করছেন। তাদেরও বিক্রি অতীতের তুলনায় বেড়েছে।

সম্প্রতি নগরীর বেশ কয়েকটি মার্কেট সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রির ব্যস্ততায় ব্যবসায়ীরা যেমন হিমশিম খাচ্ছেন তেমনি তীব্র তাপদাহে বাজারে হাঁসফাঁস ছুটছে ক্রেতাদের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত তিন বছরের তুলনায় এবছর রোজা শুরুর আগে থেকেই পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি বেড়েছে। তবে দাম তুলনামূলক বাড়তি রয়েছে বলেও স্বীকার করছেন তারা।

তথ্যসূত্র: সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর