বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ভারতীয় সেনা পরিবারের সদস্যদের হাতে ‘মুজিব বৃত্তি’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওই পরিবারগুলির মাধ্যমিক স্তরের ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ৫০০ ডলার এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ১০০ শিক্ষার্থীকে ১০০০ ডলারের স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
এসময় মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের বীরত্ব এবং আত্মত্যাগের স্মৃতি স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ অনেকেই করে। কিন্তু বন্ধু প্রতিবেশীর জন্য নিজের বলিদান দেওয়ার ঘটনা বিরল। আমরা যেন ভুলে না যাই ১ কোটি বাংলাদেশি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে, চিকিৎসা করেছে, বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছে। আমাদের এই বিষয়গুলিকে মনে রাখতে হবে। তবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অটুট থাকবে। ভারত এবং বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি উন্নত হবে। দু’দেশের বন্ধুত্ব অটুট থাক এটাই আমি চাই।”
শেখ হাসিনা বলেন, যারা আমাদের জন্য ১৯৭১ সালে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন আত্মত্যাগকারী সেইসব সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁদের বংশধরদের জন্য আমাদের এই শুভেচ্ছা উপহার, ২০০টি মুজিব স্কলারশিপ। দশম শ্রেণিতে ১০০টি এবং দ্বাদশ শ্রেণির স্তরে ১০০টি।
জয়শঙ্কর ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বৃত্তি চালু করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ভারতের সরকার ও জনগণের পক্ষে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জয়শঙ্কর বলেন, বঙ্গবন্ধু ভারতীয় জনগণের কাছে সব সময় সম্মানিত ও স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় বীরও বটে।
Leave a Reply