সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৩ দশমিক ৪০ শতাংশ কমেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, মাসভিত্তিক হিসেবে অক্টোবরে আবারো সৌদি আরবের নাম রেমিট্যান্স প্রবাহে শীর্ষস্থানে ফিরেছে। গত মাসে সৌদি আরব থেকে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ কোটি ৮৪ লাখ ডলার।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরবে গিয়েছেন ৫১ লাখ ৮২ হাজার ১৯৫ জন বাংলাদেশী। এর মধ্যে শুধু চলতি বছরের প্রথম নয় মাসেই ৫ লাখ ১৩ হাজারের বেশি বাংলাদেশী সৌদি আরব গিয়েছেন। ২০২১ সালে দেশটিতে গিয়েছিলেন ৪ লাখ ৫৭ হাজার বাংলাদেশী। অথচ গত অর্থবছরে (২০২১-২২) মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গিয়েছিল ২১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরেও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরব থেকে ২৩ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স কমেছে। এ কারণে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস হিসেবে সৌদি আরব প্রবাসীরা তাদের অবস্থান হারিয়েছিলেন।
অভিবাসী হিসেবে সৌদি আরব যাওয়া বাংলাদেশী শ্রমিকদের সে দেশে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ নেই। শুরু থেকেই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতেন। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের উল্লেখযোগ্য অংশ অবৈধ হুন্ডিতে চলে যাচ্ছে। এ কারণে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সবক’টি দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। পাশাপাশি দেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ওমান থেকে দেশে রেমিট্যান্স আসা কমেছে ৪১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। একই সময়ে বাহরাইন থেকে ১১ দশমিক ৬৩, কুয়েত থেকে ৮ দশমিক ৭৭, কাতার থেকে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ রেমিট্যান্স কমেছে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো যুক্তরাজ্য থেকেও ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে। জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া থেকে প্রবাসী আয় বাড়লেও উল্লেখযোগ্য হারে রেমিট্যান্স কমে গেছে সিঙ্গাপুর থেকে।
তথ্যসূত্র : বণিক বার্তা
Leave a Reply