আজ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২২ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এ কে এম মন্নানকে স্মরণ


নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বরমা কলেজের অন্যতম উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট উন্নয়ন চিন্তক জননেতা এ কে এম আবদুল মন্নানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৩ মার্চ ২০২৩ বৃহষ্পতিবার বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।

কর্মসূচীর মধ্যে ছিল জেয়ারত ও ফাতেহা, আলোচনা সভা, কবরে পুুষ্প অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ইত্যাদি।
এ কে এম আবদুল মান্নান স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিলের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম রাসেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মারক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চন্দনাইশ থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ-র সাবেক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম জয়নাল আবেদীন জনু। প্রধান বক্তা ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বলরাম চক্রবর্তী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বরমা উন্নতমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এডভোকেট এস এম ওসমান, বরমা ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবু জাফর, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, ডা. মৃনাল কান্তি ধর ও শ্রমিক নেতা চন্দন দাশ।

জেয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা কাজী আহমদ হোসাইন ও হাফেজ মাওলানা আমজাদ হোসেন।
আলোচকরা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে যুদ্ধের পূর্বে বিভিন্ন স্থান সফর করেন, ৭৫ এর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের পর দেশের রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের সময় যে কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিবাদী কণ্ঠ সোচ্চার ছিল, তাদের মধ্যে জননেতা এ.কে.এম. আবদুল মন্নান অন্যতম।

তিনি একজন সৎ, নির্লোভ, নিরহংকারী ও ত্যাগী নেতা ছিলেন। বক্তারা আরো বলেন, রাজনীতি হচ্ছে সমাজ-রাষ্ট্র ও মানুষের সেবা করার প্রধান পন্থা, এখন রাজনীতি টাকা আহরণের প্রধান অবলম্বন এবং রাজনীতি আজ ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি এর থেকে নতুন প্রজন্ম ও দেশকে বাঁচাতে হলে উত্তোরণের পথ খুঁজার সময়ের দাবী।

তাই সঠিক নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য জননেতা মন্নানদের মত ত্যাগী নেতাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। যারা দুঃসময়ে রাজনীতির হাল ধরেছেন, পরার্থে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন তাদেরকে স্মরণ করতে হবে। তা না হলে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি আফগানিস্তানের মত জঙ্গি আস্তানায় পরিণত হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর