আজ ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা


অনলাইন ডেস্কঃ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার ১৭ (এপ্রিল) সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এ সময় স্বাধীনতার স্থপতি এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে, তার দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন উপলক্ষ্যে আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হচ্ছে। পাশাপাশি বনানী কবরস্থানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও এম মনসুর আলীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

কর্মসূচির মধ্যে আজ সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণসহ সারাদেশের সকল দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলার মুক্তিকামী জনতার প্রজ্ঞার ফসল

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হবার আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যা ইপিআর (বর্তমান বিজিবি) ওয়্যারলেস যোগে এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে সারাদেশে প্রচার করা হয় এবং ১৭ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের জন্য মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় সমবেত হন।

তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলা ছিলো মূলত একটি আমের বাগান, পরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের পর এর নাম হয় মুজিবনগর। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

মুজিব নগরের অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্ব ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিকে চুড়ান্ত বিজয় এনে দেয়।

তথ্যসূত্র: বাসস


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর