আজ ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

এমভি আবদুল্লাহর বর্তমান পরিস্থিতি কী? যা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী


অনলাইন ডেস্কঃ সমুদ্র থেকে অপহৃত ২৩জন নাবিক ও অন্যান্য ক্রুসহ বাংলাদেশের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ছাড়ানোর বিষয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের সাথে চলমান আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ঈদের আগে কাছে পেতে তাদের স্বজনরা আকুল আবেদন জানিয়েছেন।’

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্ঠা আছে, সর্বমূখী প্রচেষ্ঠা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোন অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেকদুর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘সেই জাহাজের আশেপাশে বিদেশী জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামূখী চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেইজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে, এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকুরি করে ঈদের আগে পরে হিসেব করে তাদের কোনো ছুটি হয়না। তারা যায় ছয়মাস কিংবা একবছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সাথে মিলিত হবার কথা ছিলো না।’

পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ বিদেশী সহযোগীতা নিয়ে ব্যাংক লুঠ, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে সাংবাদিকদের কাছ থেকে এ তথ্য প্রাপ্তি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সাথে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে, পাশ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিলো তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে। দেখুন, তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, ইতিমধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’

আরও পড়ুন ভারতীয় পণ্যবর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজার অস্থিতিশীল ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘হরর সিনেমা যখন দেখা হয় তখন দেখা যায় যে, দৈত্য মানুষ পোড়ায়, আবার সেই পোড়া মানুষের মাংস খায়। বিএনপি যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তারা তো দৈত্য। হরর মুভিতে দেখা এসব বিএনপির বেলায়ও প্রযোজ্য। হরর মূভির মতো বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল।’

একটি দৈত্য সবকিছু খেয়ে ফেলতেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না। যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবে বিএনপির ততদিন কোন সম্ভাবনা নাই। প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেইনি, এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেইনি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।’

নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ি এবং মজুদদার চেষ্ঠা করেছিলো বাজারকে অস্থিতিশীল করার জন্য। এবং সেটির সাথে যুক্ত হয়েছিলো বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। ঈদকে সামনে রেখেও সবসময় বাংলাদেশে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়। সেটিকেও কঠোরহস্তে দমন করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিরাট ভুমিকা রয়েছে। আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাব, রমজানের সময় যে বাজার মোটামুটিভাবে স্থিতিশীল আছে, এবং কিছু কিছু পণ্যের দামও যে কমেছে, সেটিও প্রচার করা দরকার। কোনো পণ্যের দাম বাড়লে গণমাধ্যমে সেটি যেমন প্রচারিত হয়, কোন কোন পণ্যের দাম কমলো সেটিও প্রচার করা দরকার।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর