আজ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

২ বছর ধরে কমছে না বাংলাদেশের মূল্যস্ফিতী


অনলাইন ডেস্কঃ প্রায় দু’বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফিতীর কবলে রয়েছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের পুরো সময়ে ৯ শতাংশের ওপরে ছিলো সার্বিক মূল্যস্ফীতি। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসেও এ ঊর্ধ্বমুখিতা বজায় থাকতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে টানা ২০ মাস ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের জীবনযাপনও কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশের অর্থনীতিতে তিন দশকে আর কখনই এত দীর্ঘসময় উচ্চ মূল্যস্ফীতি স্থায়ী হতে দেখা যায়নি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণে বিলম্বের কারনেই এটি জেঁকে বসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নব্বইয়ের দশকে বেসরকারি খাতের উত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতির বিকাশ শুরু হয়। ওই দশকে কখনো কখনো মূল্যস্ফীতি বাড়লেও তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। এক বছর বাড়লেও পরের বছরই তা কমে গেছে। ওই দশকে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিলো ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন ছিলো ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এর পরের দশকের শুরুতে ২০০০-০১ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ছিলো ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ওই দশকে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিলো ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন ‘বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বিশ্বব্যাংক’

এরপর গত দশকে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে ২০১১-১২ অর্থবছরে, যার হার ছিলো ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ ছিলো ২০১৬-১৭ অর্থবছরে। চলতি দশকের প্রথম দুই অর্থবছর ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিলো যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫৬ ও ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবছরেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির ওই ধারা অব্যাহত আছে এখনো।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসের পুরো সময়ে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে ছিলো। সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার জুলাইয়ে ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, আগস্টে ৯ দশমিক ৯২, সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ৬৩, অক্টোবরে ৯ দশমিক ৯৩, নভেম্বরে ৯ দশমিক ৪৯, ডিসেম্বরে ৯ দশমিক ৪১, জানুয়ারিতে ৯ দশমিক ৮৬ এবং সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ ছিলো। ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যে ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ছিলো। গত বছরের অক্টোবরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে উঠে গিয়েছিলো।

শুধু কঠোর ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর সঙ্গে সঙ্গে ডলারের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে হবে বলেও মনে করছেন তারা।

তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর