অনলাইন ডেস্কঃ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যারা রোজা রাখছেন তাদের জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যেসব পরামর্শ দিয়ে থাকেন তন্মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের নিয়ম মেনে খাবার খেতে হয়, ওষুধও নিতে হয়। তাই রমজান মাসে কীভাবে রোজা রাখবেন সেটি অনেক ডায়াবেটিস রোগীর কাছে চিন্তার বিষয়। তবে রোজা রাখার সময় নিম্নোল্লিখিত কিছু বিষয় মেনে চললে ডায়াবেটিক রোগীরা উপকৃত হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ইনসুলিন নেন তারা অবশ্যই সুগার মেপে দেখবেন। ইফতার থেকে সেহেরিতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। কমপক্ষে ২ থেকে ২.৫ লিটার। রোজার সময় একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা হওয়া উচিত সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত। অতিরিক্ত তেল ও চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
আরও পড়ুন ডায়াবেটিস প্রসঙ্গে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা
সেহেরিতে মিশ্র কার্বোহাইড্রেট যেমন- বাদামি চালের ভাত, বাদামি আটার রুটি, যব খাওয়া উচিত। সঙ্গে সবজি, ডাল এবং আমিষ হিসেবে মাছ, মুরগি খাওয়া যাবে। টক জাতীয় ফল ও টক দই খাওয়া যেতে পারে। ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার যেমন- পেঁয়াজু, আলুর চপ ইত্যাদি না খাওয়া উচিত।
চিনি ব্যবহার করে শরবত বানানোর পরিবর্তে ফলের জুস খান। তবে মিষ্টি জাতীয় খাবার বা ফল খাওয়া উচিত নয়। ওজন কমানোর মানসিক কৌশল
ছোলার সঙ্গে ডিম, সালাদ খেতে পারেন। টক জাতীয় ফল ছাড়াও অন্যান্য ফল যেমন- আপেল, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, আনারস, আঙুর, কলা খাওয়া যাবে। তারাবির পর বাদাম, দুধ অথবা টক দই খেতে পারেন।
রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর ওষুধ ব্যবস্থাপনা
রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর ওষুধ ও ইনসুলিন ব্যবস্থাপনা নির্ভর করে রোগীর ডায়াবেটিসের টাইপ, পরিমাণ, সঙ্গে অন্যান্য রোগের উপস্থিতি ও অবস্থার ওপর। রোগী যদি ওপরে উল্লেখ করা খাবারের তালিকা মেনে চলেন তবে ইনসুলিন এবং ওষুধের ডোজ পরিমাণ কিছুটা কম লাগতে পারে। তবে রোগীদের উচিত রোজার আগেই ডায়াবেটিস ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে ওষুধ ও ইনসুলিনের পরিমাণ নির্ধারণ করে নেওয়া।
একজন ডায়াবেটিস রোগী রোজার সময় কিছু জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেমন- রক্তে সুগার অনেক কমে যাওয়া বা হাইপোগ্লাইসমিয়া, রক্তে সুগার অনেক বেড়ে যাওয়া বা হাইপারগ্লাইসমিয়া, ডায়াবেটিস কিটো এসিডোসিস হতে পারে। যার ফলে রোগী অজ্ঞান হয়ে অনেক সময় মৃত্যুঝুঁকি সৃষ্টি হয়, পানিশূন্যতা দেখা দেয়। যেকোনো জটিল পরিস্থিতি এড়াতে অবশ্যই শারীরিক অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তথ্যসুত্র: দ্য ডেইলি স্টার
Leave a Reply