আজ ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য’ নিয়ে চবিতে আলোচনা


চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন,  বুদ্ধিজীবীর ছদ্মবেশে যারা ছিলেন, তারাই আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে জড়িত। আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় চবি উপাচার্য দফতরের সম্মেলন কক্ষে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চবি উপাচার্য বলেন, অনেক বুদ্ধিজীবীকে হত্যার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারা পালিয়ে যাননি। তারা দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত ছিলেন। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার জন্য একটা বুলেটই যথেষ্ট ছিলো। অথচ তাঁদেরকে অধিক কষ্ট দিতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, মূল বক্তা ছিলেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, একটি দেশকে যদি মেধাশূন্য করা যায় এবং তরুণদের যদি হত্যা করা যায়, তাহলে দেশটি ধ্বংস হয়ে যায়। পঞ্চাশের দশকে শওকত ওসমান তার লেখনীতে বিষয়গুলো তুলে ধরেছিলেন। আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পেছনে এমন নীলনকশাই তৈরি করেছিল খুনীরা।

তিনি আরও বলেন, মোগল থেকে শুরু করে ইংরেজ এবং পাকিস্তানিরাও আমাদের শাসন ও শোষণ করে গেছে। কিন্তু সেই অধ্যায় থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল, তাদেরকেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ১৪ ডিসেম্বর। আমাদের বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের জীবন দিয়ে যেই স্বাধীনতা উপহার দিয়ে গেছেন, তাদের সে আদর্শ আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি, আমাদের দায়িত্ব হলো জ্ঞান গবেষণায় এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের রক্তের মূল্য দেওয়া। তাদের যে স্বপ্ন ছিলো- সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নে আমাদের এগিয়ে আসার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে সেভাবে তৈরি হতে হবে। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় চবির বুদ্ধিজীবী চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। পরে শোক র‌্যালি ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর