আজ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: বাংলানিউজ২৪

সাংবাদিক নির্যাতন মামলার চার্জশিট দ্রুত দেয়ার দাবি সিইউজের


রাঙ্গুনিয়ায় সাংবাদিক আবু আজাদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে মামলার চার্জশিট দ্রুত দাখিলের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর খুলশী কার্যালয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) বরাবর স্মারকলিপি দেন সিইউজে নেতৃবৃন্দ।

এ প্রসঙ্গে সিইউজের সভাপতি তপন চক্রবর্তী জানান, ‘আমাদের সহকর্মীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে যে কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে, তা পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য আতঙ্কের। কিন্তু ঘটনার ১৯ দিন পার হলো, কিন্তু ওই ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার করা  হয়নি। ইতোমধ্যে প্রধান আসামিদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও তারা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। জামিন পেয়ে তারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানা রকম কুৎসা রটাচ্ছেন এবং আস্ফালন করছেন। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তির আওতায় আনতে আমরা ডিআইজিকে অনুরোধ করেছি। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত চার্জশিট দাখিলের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ’

চট্টগ্রামের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবহিত হয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিচ্ছি।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি রুবেল খান, সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহরম হোসাইন, অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন দুলাল, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ব্যুরো প্রধান সামছুদ্দিন ইলিয়াস ও সিইউজে সদস্য ওমর ফারুক।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহের সময় ছবি তোলার কারণে স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন তালুকদার মোহনসহ ৫-৬ জন ব্যক্তি পিস্তল ঠেকিয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদক আবু আজাদকে অপহরণ করে তার কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে বেঁধে রেখে তাকে নির্যাতন করে। পরে এবিসি ইটভাটার মালিক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে আবু আজাদের মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে এবং মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড সব কেড়ে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরদিন ২৬ ডিসেম্বর রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় হত্যা চেষ্টা, অপহরণ, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়া, মারধর এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু আজাদ। মামলায় ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন (৪০), চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী (৫৫), ইটভাটার ম্যানেজার কামরান (৩০), মোহনের সহযোগী কাঞ্চন তুড়ির (৩০) নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরো ৫-৭ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে অভিযুক্ত করা হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর