আজ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: চট্টগ্রামের বইমেলায় নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উৎসবে বক্তব্য রাখছেন দীপংকর তালুকদার

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি লালন জরুরি: দীপংকর তালুকদার


অনলাইন ডেস্কঃ জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর
ভাষা ও সংস্কৃতির লালন জরুরি উল্লেখ করে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে নৃ-গোষ্ঠীগুলোর সংস্কৃতি বিকাশে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের বই মেলায় নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উৎসবের মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এ দেশের অমূল্য সম্পদ। সাংস্কৃতিক নানা উপাদান এসব জাতিগোষ্ঠীর সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। যুগ যুগ ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জাতিসত্ত্বা এবং অ-উপজাতীয় জনগণ বসবাস করছে। উপ-জাতীয়রা যেমন একদিকে সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের অধিকারী, অন্যদিকে তারা মূল জনগোষ্ঠীর অপরিহার্য অংশ।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা যদি না থাকে, তবে সংস্কৃতি বিলুপ্ত হবে। তাই প্রয়োজন বাংলাদেশের অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সঠিক লালন। সংখ্যাগুরু মানুষের উচিত সংখ্যায় কম মানুষের সংস্কৃতির বিকাশে এগিয়ে আসা।’

আরও পড়ুন বঙ্গবন্ধুই কবিগুরুর সেই মহামানব: বইমেলার রবীন্দ্র উৎসবে ড. অনুপম

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ১৯৯৬ সাল থেকে একটি নীতিমালার আলোকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা শুরু করা হয় এবং কর্মসূচিটি চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণে সর্বদা সচেষ্ট।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক নৃগোষ্ঠী গবেষক ড. আজাদ বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন কবি ও নাট্যজন শিশির দত্ত, মাটিরাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ প্রশান্ত ত্রিপুরা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনন্দ চাকমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।

আলোচনা শেষে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের নৃ-গোষ্ঠীর গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর