আজ ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের


স্পোর্টস ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে ৮৬ রানে হার। আজ (মঙ্গলবার) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টাইগাররা উড়ে গেল ৭ উইকেটে। ৯১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিয়ে সিরিজও ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল কিউইরা।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৭২ রানের মামুলি লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করে নিউজিল্যান্ড। কোনো উইকেট না হারিয়েই তুলে ফেলে ৪৯ রান। তবে দশম ওভারে পরপর দুই বলে ২ কিউই ব্যাটারকে (ফিন অ্যালেন ও ডিন ফক্সক্রফট) প্যাভিলিয়নে ফেরান পেসার শরিফুল ইসলাম। তাতে কিছুটা ম্যাচে ফিরলেও নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলা যায়নি। তৃতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেন উইল ইয়ং ও নেহরি নিকোলস। ১৩০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৭০ রান করে নাসুম আহমেদের বলে উইল ইয়ং বোল্ড হলেও ততক্ষণে জয়ের খুব কাছে চলে যায় কিউইরা। ৪৫ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন নিকোলস এবং টম ব্লান্ডেল।

এর আগে, টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ ওভার ৩ বলেই মাত্র ১৭১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে একাই ৭৬ রান করেছেন এই ম্যাচেই প্রথম ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত।

আজ মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল দুইটায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। তবে শুরুতেই সেই চেনা বিপর্যয়। তিন ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার ফিরে যান। দ্বিতীয় ওভারে অভিষিক্ত জাকির হাসান (১) অ্যাডাম মিলনের বলে বোল্ড হন। এরপর তৃতীয় ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে তানজিদ হাসান (৫) স্লিপে থাকা ফিন অ্যালেনকে ক্যাচ দেন।

চারে ব্যাট করতে নেমে ইতিবাচক শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। ১৭ বলে ১৮ রান করেই মিলনের বলে ক্যাচ উঠিয়ে দেন। ৩৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে, তখন হাল ধরেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিক। ৮৮ রানের মাথায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে ফেরেন মুশফিক। এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। তবে ১৩৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২১ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহও। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শেখ মেহেদীও। তবে দীর্ঘক্ষণ লড়াই চালিয়ে ১৬৮ রানের মাথায় সপ্তম ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেন শান্তও। ৮৪ বলে ১০ চারে ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। অভিষেক ওয়ানডেতে কোনো বাংলাদেশি অধিনায়কের সর্বোচ্চ রান এটি।

শান্তর বিদায়ের পর আর টিকতে পারেননি কোনো ব্যাটার। দলের সঙ্গে আর ৩ রান যোগ হতেই একে একে ফিরে যান নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ এবং শরিফুল ইসলাম। ৬ ওভার ৩ বলে ৩৪ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন কিউই পেসার অ্যাডাম মিলনে। দুইটি উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং কোলে ম্যাককোনি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর