অনলাইন ডেস্কঃ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আয়লা এবং আম্ফানের মতো ক্ষতি হতে পারে রেমালে। ২৫ মের পর যে কোনো সময় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়ার অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান। আরবিতে যার অর্থ বালি। অবশ্য এই নামে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে একটি শহরও রয়েছে। এবার ধেয়ে আসতে পারে সেই ‘রেমাল’। ঘূর্ণিঝড়টি কতটা ভয়াবহ হবে, তা স্পষ্ট করেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে— ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে সাগরের ৫০ মিটার গভীর পর্যন্ত ন্যূনতম তাপমাত্রা থাকতে হয় ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু সাগরের পানির বর্তমান তাপমাত্রা রয়েছে ৩০-৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, যা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য যথেষ্ট।
আরও পড়ুন ঘুর্ণিঝড় ‘রেমাল’ কী বাংলাদেশে তাণ্ডব চালাবে?
আগামী ২২ মে নাগাদ আরব সাগর এবং ২৩ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এখন পর্যন্ত ঘুর্ণিঝড়টির মুভমেন্ট ভারতের উড়িষ্যার দিকে এবং এটি বাংলাদেশে আঘাত হানবে কী না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে পূর্বাভাস রয়েছে, ২৭ তারিখের দিকে এটি বাংলাদেশের উপকূলে আসতে পারে।
যদি এটি বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবর্তী স্থানের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করে, তবে সম্ভাব্য সময় হবে ২৬ মে দুপুর ১২টার পর থেকে ২৭ মে সন্ধ্যার মধ্যে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২১ মে প্রবল শক্তি নিয়ে দেশের উপকূলে আঘাত হানে আয়লা। সে সময় ব্যাপক ক্ষতি হয় দেশের কৃষকদের। ২০২০ সালের ২০ মে দেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবেও ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে সুন্দরবনের কারণে রক্ষা পাওয়া গেছে সে যাত্রায়। এবার সেই আয়লা-আম্ফানের মাসেই ধেয়ে আসার আশঙ্কা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর
Leave a Reply