আজ ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: স্মার্ট কসাইখানা নির্মানে চসিক ও প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের চুক্তি সাক্ষর

স্মার্ট কসাইখানা প্রকল্পে চসিক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমঝোতা


# ঘন্টায় ২৫টি গরু-মহিষ, ৬০টি ছাগল জবাই ও প্রক্রিয়াজাত করা যাবে
# দূষণ কমবে পরিবেশের, কমবে নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি
# নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১’শ কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্কঃ চট্টগ্রামে সাগরিকা পশুর হাটের পশ্চিম পাশে ১ একর জায়গায় স্মার্ট কসাইখানা নির্মাণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক)। এতে পরিবেশ দূষণ কমার পাশাপাশি নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমবে। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে সমঝোতা স্মারকও সাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম চুক্তিটিতে সই করেছেন।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, কসাইখানাটিতে দুটি পৃথক লাইনে একইসঙ্গে প্রতি ঘন্টায় ২৫টি গরু-মহিষ এবং ৬০টি ছাগল জবাই ও প্রক্রিয়াজাত করা যাবে৷ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ হালালভাবে পশু জবাই হবে এ স্মার্ট কসাইখানায়৷ এ কসাইখানায় জবাই করা পশুর মাংসে রক্ত-পানি জমে থাকবে না বিধায় ক্রেতারা মাংস কিনে লাভবান হবেন৷

সভায় মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর জানতে পারি বিভিন্ন জটিলতায় এই প্রকল্পের বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিলো৷ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে সমস্যাগুলো নিরসণ করায় এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখছে৷’

আরও পড়ুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হৃদয়ে-চেতনায় বাংলাদেশ: চসিক মেয়র

তিনি বলেন, ‘এটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে নগরীর যেখানে-সেখানে পশু জবাই বন্ধ হবে। এতে পরিবেশ দূষণ কমে আসবে। রোগবালাই আছে এমন গরু জবাই করা বন্ধ হবে। বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রক্রিয়াকৃত মাংস খেতে পারবে চট্টগ্রামবাসী৷’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার চান৷ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সচেতন জনগণ এই কসাইখানা থেকে জবাই করা পশুর মাংসই খেতে চাবেন৷ কারণ, এ কসাইখানায় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মাংস প্রক্রিয়া করা যাবে৷ রোগ-জীবাণু ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাবে এ কসাইখানা৷ এছাড়া এখানে জবাই করা পশুর চামড়াও থাকবে একদম নিখুঁত।’

চুক্তিসাক্ষরকালে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোবারক আলী, চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহীন উল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, চসিক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রতিনিধিবৃন্দ এবং ক্যাবের নেতৃবৃন্দ৷


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর