আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরাজয়


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০৬ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানে গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার এটি।

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে আসরে ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ-২ এ ছিল শীর্ষে। তবে এক ম্যাচ পরই হারের স্বাদ পেতে হলো তাদের। তাতে ছয় দলের গ্রুপে তিনে নেমে যেতে হয়েছে সাকিবদের। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা উঠে গেছে শীর্ষে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। তাতে মিলে এক পয়েন্ট। সুবাদে এখন দুই ম্যাচে এক জয়ে তিন পয়েন্ট তাদের। কিছুক্ষণ পরই অবশ্য মাঠে নামবে টেবিলে দুই নম্বরে থাকা ভারত। নেদারল্যান্ডসকে হারালে শীর্ষে উঠে যাবে তারা।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কাগিসো রাবাদার করা প্রথম ওভারে সৌম্য ও শান্ত তোলেন ১৭ রান। দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি উপহার দেন শান্ত। সৌম্য তো শেষ দুই পরে পর পর দুই ছক্কা হাঁকান। কিন্তু অমন একটা শুরুর পরও পথ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। আনরিক নরকিয়ার করা তৃতীয় ওভারেই ফিরে যান সৌম্য ও শান্ত। সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেনও থিতু হতে পারেননি। সাকিব শিকার নরকিয়ার, আফিফ রাবাদার। তাতে প্রথম ৬ ওভারে ৪৭ রান তুললে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পরের ৬ ওভারে ২৯ রান তুলতে হারায় আরও ৩ উইকেট। ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান। স্রোতের বিপরীতে একা লড়াই করছিলেন তিন নম্বরে নামা লিটন দাস। ১৪তম ওভারে তাকে থামান তাবরাইজ শামসি।

৩১ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ৩৪ রান করেন লিটন। যা বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান সৌম্য সরকারের। এছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। মিরাজ ১৩ বলে ১১ এবং তাসকিন ১৭ বলে ১০ রান করেন। তাসকিনকে বোল্ড করে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দেওয়া আনরিক নরকিয়া সর্বাধিক ৪ উইকেট নেন। শামসির শিকার ৩টি। একটি করে উইকেট নেন রাবাদা ও কেশভ মহারাজ। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান ‍তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাইলি রুশো চলতি আসরের প্রথম সেঞ্চুরি উপহার দেন। ৫৬ বলে ৭ চার ও ৮ ছক্কায় খেলেন ১০৯ রানের ইনিংস। কুইন্টন ডি কক ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৬৩ রান।

বাংলাদেশের সব বোলারই হাত খুলে রান বিলিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন বাদে বাকি সবার ইকোনোমি আটের ওপরে। তাসকিন আহমেদ ৩ ওভারে ১ উইকেট তুলে নিতে খরচ করেছেন ৪৬ রান। উইকেট সংখ্যার দিক থেকে ৩ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল সাকিব। তবে ৩৩ রান খরচ করেছেন তিনি। ম্যাচসেরা হয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান রুশো।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর