মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশঃ
চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে আনুমানিক ৩০০মিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
এটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বৈলতলী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিনিয়ত ছোট খাটো রোগের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির এখন বেহাল দশা।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সীমানা প্রাচীর নেই। স্বাস্থ্য কেন্দ্র লাগোয়া ঝোপজঙ্গলে ঘেরা ‘টয়লেটটি’ ব্যবহার অনুপযোগী। একতলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভবনে থাকা সবগুলো জানালাই ভাঙা। স্টাফদের ব্যবহারের জন্য যে টয়লেটটি রয়েছে সেটিরও দরজা নেই এবং বাহিরের অংশে দরজার গ্রীলও মরিচা ধরে ভেঙে পড়েছে। এছাড়া নলকূপ থাকলেও তাতে পানি ওঠে না।স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভবনটি দ্রুততম সময়ে সংস্কার করে এটিকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপান্তর করা গেলে বৈলতলী ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগ কমার পাশাপাশি দোহাজারী হাসপাতালে রোগীর চাপ বহুলাংশে কমে আসবে বলে মতপ্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে বৈলতলী ইউপি চেয়ারম্যান এসএম সায়েমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ”বৈলতলী ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভবন সংস্কারের বিষয়টি বেশ কয়েকবার উপজেলা সমন্বয় সভায় তুলে ধরেছি। ”প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে” বলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন। তবে এটির সংস্কার অদ্যাবধি করা হয়নি।”
বর্তমান স্বাস্থ্য বান্ধব সরকারের কাছে বৈলতলী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান তিনি।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মনি কুমার শর্মার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম জেলায় যে সকল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভবন জরাজীর্ণ রয়েছে সেগুলো পুননির্মাণ করা হবে। চট্টগ্রাম জেলায় ২৪টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পুননির্মাণ করা হবে। তন্মধ্যে বৈলতলী, বরমা, হারালা ও হাশিমপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র তালিকায় আছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে, আশা করি দ্রুততম সময়ে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
Leave a Reply