আজ ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: আগে ছিলো বাঁশের দোকান এখন ভরাট হয়ে দৃশ্যমান ডাস্টবিন

৫ লাখ টাকার অনিয়ম ধামাচাপা দিতে লাখ টাকার আরো একটি প্রকল্প


মো. শোয়াইব, হাটহাজারীঃ চাটগাঁর সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে পৌরসভায় প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক ভূগর্ভস্থ ডাস্টবিন প্রকল্পের অনিয়ম ধামাচাপা দিতে লাখ টাকা ব্যয়ের আরো একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

পৌরবাসীর অভিযোগ, সদ্য দায়িত্ব নেয়া পৌর প্রশাসক আলহাজ্ব মনজুরুল আলম চৌধুরীকে ফাঁকি দিতে ডাস্টবিন প্রকল্পটি মাটিচাপা দিয়েছে পৌর প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ খান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সম্প্রতি সেই ডাস্টবিনটি ঢাকতে কৌশলে ভরাট করা হয়েছে এবং তার ওপর আরেকটি আস্তাকুড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এসিল্যান্ড অফিস ও সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সীমানা দেয়াল ঘেঁষে নির্মিত ডাস্টবিনটির ৫ ফুট গভীর ৪টি গর্ত ইতোমধ্যে ভরাট করা হয়েছে, তার ওপর ইটের গাঁথুনি দিয়ে ড্রেনের স্ল্যাব বসিয়ে ১০ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থের আরেকটি ডাস্টবিন তৈরি করা হচ্ছে।

আস্তাকুড়ে নির্মাণে কাজ করছিলেন দু’জন শ্রমিক। তাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এই কাজটিরও ঠিকাদার মনোয়ার হোসেন। শ্রমিকরা চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘বেলাল স্যার এইভাবে কাজ করতে বলেছেন।’

পৌর প্রকৌশলীর এমন কাজ দেখে জনমনে কানাঘুঁষা চলছে। অহেতুক ৫ লাখ টাকা গচ্ছা দিয়ে সেটা ঢাকতে আবারো লাখ টাকার টেন্ডারবিহীন প্রকল্প।যা মাছ ঢাকতে শাক দেয়ার মতো হয়ে গেছে।’

ভূগর্ভস্ত ডাস্টবিন  প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে চাটগাঁর সংবাদের এই প্রতিদেনটি পড়ুন
হাটহাজারী পৌরসভায় কেন গচ্ছা যাচ্ছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বরাদ্দ

এদিকে পৌরসভায় নতুন প্রশাসক হিসাবে যোগ দেওয়া আলহাজ্ব মনজুরুল আলম চৌধুরীকে নিয়োগ দেয়ায় পৌর বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তির আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পৌর প্রশাসক অনেক আগে থেকেই বেলাল এবং মনোয়ার সিন্ডিকেটের কার্যক্রম জানেন, তাই ভবিষ্যতে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ হবে বলে প্রত্যাশা পৌর বাসিন্দাদের।

এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার মনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা এখন মনে নেই। দেখে বলতে হবে। আমাকে ইঞ্জিনিয়ার বেলাল আহমেদ খান আধুনিক ভূগর্ভস্থ ডাস্টবিন ভরাট করতে
বলেছেন তাই করেছি।

পৌরসভার সহায়ক কমিটির সদস্য আলী আজম চেয়ারম্যান নির্বাচন না হওয়ায় পৌরসভার এমন অবস্থা বলে কৌশলে এড়িয়ে যান।

বেলাল আহমেদ খানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি মিটিংয়ে আছি বলে ব্যস্ত থাকার বাহানায় এড়িয়ে গেছেন।

পৌরসভার প্রশাসক আলহাজ্ব মনজুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমি ব্যস্ত থাকার কারনে সেটি জানতে পারিনি। আমি খুব দ্রুত সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর