অনলাইন ডেস্কঃ দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ আর্থ্রাইটিস বা বাত রোগে আক্রান্ত। শুধু বাংলাদেশেই নয় নয়, বিশ্বজুড়ে আর্থ্রাইটিস বা বাতব্যথা প্রচলিত একটি সমস্যা। এ রোগের বিষয়ে সচেতনতা প্রচার করতে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ১২ অক্টোবর পালন করা হয় বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস। ১৯৯৬ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড আর্থ্রাইটিস ডে’ দিবসটি ‘আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড রিউমেটিজম ইন্টারন্যাশনাল’ এর তত্ত্বাবধানে উদযাপিত হয়ে আসছে।
আর্থ্রাইটিস বলতে সাধারণত অস্থিসন্ধির প্রদাহকেই বোঝানো হয়। তবে এটি নির্দিষ্ট একটি রোগ নয়। অস্থিসন্ধি, আশপাশের মাংসপেশি, টেনডন ইত্যাদি অনেকগুলো অসুখ একসঙ্গে আর্থ্রাইটিস নামে পরিচিত। তবে দেশে সবথেকে বেশি প্রকোপ দেখা যায় অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের।
বাত ব্যাথার মূল লক্ষণ হচ্ছে গিরায় ব্যাথা। এছাড়া, গিরা ফুলে যাওয়া, ঘাড়-পিঠ এবং হাত-পায়ের ব্যাথাকেও বাত ব্যাথার মধ্যে ধরা হয়।
প্রায় ৬৭২ প্রকার আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথাজনিত রোগ আছে। এরমধে অন্যতম সিস্টেমিক লুপাস ইরিথ্রেমাটোসাস বা এসএলই রোগ। এসএলই একটি অটোইমিউন ডিজিজ। এই রোগে ইমিউন সিস্টেম নিজের শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে। আক্রান্ত করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কোষ।
চিকিৎসকদের মতে, বাংলাদেশের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ভাগ মানুষ বাতের ব্যাথায় ভুগেন। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বজুড়ে আর্থ্রাইটিস বা বাতব্যথা প্রচলিত একটি সমস্যা। অনেকের ধারণা এটি শুধু বয়স্কদের রোগ, তবে বাস্তবতা বলছে সকল বয়সী মানুষেরই হতে পারে অস্টিও আথ্রাইটিস। এটি ক্ষয়জনিত বাত।
অস্টিও আথ্রাইটিস বেশি হয় হাঁটুতে। কখনো কখনো কোমরেও হয়। সকালে যখন একজন রোগী ঘুম থেকে উঠবেন বা বিশ্রাম নেবেন, তখন কম থাকবে। কিন্তু যখনই কাজে যাবেন তখনই ব্যথা বেড়ে যাবে।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ১৮ ঊর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে শতকরা প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে বাত ব্যথায় আক্রান্ত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই কম।
প্রথমদিকে রোগীর ঘন ঘন জ্বর, মাংসপেশিতে ব্যথা, সব সময় ক্লান্তি অনুভব, ক্ষুধা হ্রাসসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয় আর্থ্রাইটিসে। এটি এমন একটি রোগ যা হয়তো কোনদিন পুরোপুরিভাবে সারে না। তবে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ ব্যথা প্রশমন করা সম্ভব।
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত
Leave a Reply