ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা সদরে (২রা জুলাই)এখন ঠান ঠান উত্তেজনা। সকাল৯টা হতেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা পটিয়া থানার মুল ফটক ঘিরে রাখেন।মাইকে ওসির অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে মহাসড়কে ভীতিকর উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
পুলিশ মুল ফটকের দরজা বন্ধ করে দিলে ছাত্ররা থানার ভিতর ঢুকতে না পেরে সেখানেই আবস্হান নিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী আহত হয়। ফলে ছাত্ররা চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রাখে।এতে হাজার হাজার যাত্রী দূর্ভোগে পড়ে।দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে বাইপাস রোড অবরোধ করে রাখেন।বাইপাসের উভয়পাশে আটকে পড়ে শতশত গাড়ী।রাস্তায় টায়ার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে জনমনে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।
বিক্ষোভে অংশ নেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি,বৈছাআ চট্টগ্রাম নগরীর মুখপাত্র ফাতেমা খানম সহ কেন্দ্রীয়, মহানগর, জেলার নেতৃবৃন্দগণ।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, পুলিশ গতকাল ও আজ সহ দুদফা আমাদের নেতাকর্মীদের উপর লাঠি চার্জকরে শতশত নেতাকর্মীদের আহত করে।ওসি ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিতে হবে।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো:সাইফুল ইসলাম সানত্ব বলেন, মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় কিছু নেতাকর্মী থানার সামনে অবস্থান নিয়ে থানায় ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।তাদেরকে আলোচনায় আসার জন্য বলা হয়।
পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে ধরে এনে গ্রেফতার করতে বলেন, আমি তদন্ত করে দেখি যে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়।এক পর্যায়ে তারা পুলিশ সদস্যদের সাথে ধাক্কাধাক্কী করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।সেনাবাহিনী ছাত্রদের আশ্বাস দিলেও তারা ওসি অপসারণ না হওয়া পযর্ন্ত ব্লকেড কর্মসুচি প্রত্যহার করবেন না বলে জানিয়ে দেয়।
Leave a Reply