মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরের কম্পনে কেঁপেছে টেকনাফও!


নিউজ ডেস্ক: মধ্যরাতে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রায় ৪ মাত্রার এই ভূমিকম্পের কিঞ্চিৎ আঁচ লেগেছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফেও।

বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ২৯ মিনিটে টেকনাফ থেকে ১১৮ কিলোমিটার দূরে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল বলে জানা গেছে।

ভূকম্পনবিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, টেকনাফে খুব অল্প ঝাঁকুনি দেওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ এটি টের পাননি।

ভলকানো ডিসকভারি বঙ্গোপসাগরের ভূমিকম্পের উৎপত্তির গভীরতার তথ্য জানাতে না পারলেও ইএমএসসি বলেছে, এটি মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়েছিল।

টেকনাফের বেশ কজন স্থানীয় বাসিন্দা এই ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাওলানা ইকরাম উদ্দিন নামের টেকনাফের স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম বলেন, আমি তাহাজ্জুদ পড়ার জন্য তিনটায় ঘুম থেকে উঠেছিলাম। নামাজ পড়াকালীন আনুমানিক সাড়ে তিনটার সময় হঠাৎ শরীরে একটু কাঁপুনি অনুভূত হয়। তবে এটি যে ভূমিকম্প সেটি জানতে পারি ফজরের নামাজের পর কয়েকজন মুসল্লীর মুখ থেকে শুনে।

ঢাকার আবহাওয়া অফিসের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পেশাগত সহকারী নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, মনিপুরে একটি ভূমিকম্পের খবর শুনেছি। আর বঙ্গোপসাগরে একটি ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে এটার মাত্রা ৪। এটা অনেক দূরে বিধায় আমাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া এটার মাত্রাও কম।

তিনি আরো বলেন, সাগরেও মাঝে মাঝে ভূমিকম্প হয়। ৭ মাত্রার কম্পন হলে তখন সুনামির সৃষ্টি হয়।

এর আগে গত শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যা বিগত বছরগুলোতে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে তীব্রতর।

ওইদিন কম্পনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে বহু মানুষ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, এমন তীব্র ভূমিকম্প এর আগে কখনও দেখিনি।

নরসিংদীতে উৎপত্তি হওয়া ওই ভূমিকম্পে দেশজুড়ে অন্তত ১০ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। এছাড়া এর পরদিন শনিবারও ঢাকা ও নরসিংদীতে আরো কয়েকবার কম্পন অনুভূত হয়।


Related posts

চট্রগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশ এলাকায় দূর্ঘটনা

Chatgarsangbad.net

চন্দনাইশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে উপজেলা ছাত্রলীগ

Chatgarsangbad.net

ফটিকছড়িতে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫

Shahidul Islam

Leave a Comment