আজ ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাঙ্গুনিয়ার কন্যা মীমের যুক্তরাষ্ট্রের হেনড্রিক্স কলেজ থেকে স্কলারশিপ অর্জন


রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: মুমতাহিনা করিম মীম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা বড়বাড়ির মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখত মীম।

আজ তার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য অফার পেয়েছেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হেনড্রিক্স কলেজ থেকে বিশ্ববিখ্যাত ‘হেইস মেমোরিয়াল স্কলারশিপ’ অর্জন করেছেন তিনি। এটি একটি ফুল-রাইড স্কলারশিপ।

বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর মাত্র চারজন শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত হন। এবার যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে একমাত্র সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী মীম, যার এই অর্জন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অনন্য অনুপ্রেরণা।

মীমের কাছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রস্তাবিত স্কলারশিপের মোট মূল্য প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। তবে তিনি হেনড্রিক্স কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স (ডুয়েল-ইঞ্জিনিয়ারিং) প্রোগ্রামে স্নাতক সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জানা গেছে, আগামী ৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে রওনা দিচ্ছেন মীম, তার বহুদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে।

শৈশব থেকেই প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের প্রতি ঝোঁক ছিল মীমের। সপ্তম শ্রেণিতে নিজের হাতে তৈরি করেন একটি ওয়েবসাইট, নবম শ্রেণিতে প্রতিষ্ঠা করেন ৬৫ সদস্যের প্রোগ্রামিং ক্লাব।

করোনা মহামারির সময়, ঘরে বসেই গড়ে তোলেন একটি মিনি রোবটিক্স ল্যাব এবং নির্মাণ করেন ‘কিবো’ নামে একটি রোবট, যা খাবার পরিবেশন করতে সক্ষম।

মীম চট্টগ্রাম শহরের অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং কাপাসগোলা মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ছোটবেলায় একবার বাবা-মার সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকেই তার মধ্যে বিদেশে উচ্চশিক্ষার আগ্রহ জন্মায়।

মীমের এই অসাধারণ অর্জনে শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে তার নিজ এলাকা সরফভাটা বড়বাড়িতে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন স্থানীয় বিশিষ্টজনরা, যারা মীমের এই সাফল্যে গর্ব প্রকাশ করেন।

নিজের যাত্রাপথ সম্পর্কে মীম বলেন, সহশিক্ষা কার্যক্রম আমার পরিচয়ের বড় অংশ। বিতর্ক, চিত্রাঙ্কন, গান, বিজ্ঞান মেলা—সবখানেই সক্রিয় থেকেছি। এসব থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার স্বপ্ন ছিল, সেটার জন্য ধাপে ধাপে নিজেকে তৈরি করেছি। মা-বাবা আর শিক্ষকদের সহায়তায় আজ এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর