নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম কালুরঘাটে বহুল প্রত্যাশিত কর্ণফুলী নদীর ওপর রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে খুশি হয়েছেন এ অঞ্চলের লাখো মানুষ।
এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করায় কালুরঘাটে আনন্দ মিছিল করেছেন সর্বস্তরের জনসাধারণ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যমান শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে মিছিলটি পূর্ব প্রান্তে এসে শেষ হয়।
বোয়ালখালী নাগরিক সমাজের ব্যানারে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূস এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এ মিছিলে সর্বস্তরের নানা পেশার মানুষ অংশ নেন।
মিছিল শেষে কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংবাদিক মুস্তফা নঈম এর সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য দেন কলামিস্ট সৈয়দ জাকির হোসাইন, সাংবাদিক মনজুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, এস এম সেলিম, মোহাম্মদ রফিক, হাজী আবু আকতার, আ ন ম ইলিয়াস, নুরুল আবছার, ফায়াজ মেহের, ইব্রাহিম তালুকদার, গোলাম হোসেন নান্নু, ইব্রাহিম চৌধুরী মানিক প্রমুখ। শেষে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বোয়ালখালী কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক মুস্তফা নঈম বলেন, একটি সেতুর জন্য বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ অপেক্ষায় ছিলাম। সেই বহুল প্রত্যাশিত কালুরঘাটে ‘রেল ও সড়ক সেতু’ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। এজন্য আমরা শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। একই সাথে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সকল উপদেষ্টাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি জানান, বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ ২০১৩ সাল থেকে নতুন সেতুর জন্য দল-মত নির্বিশেষে একটি প্লাটফর্মে এনে এ জনদাবি জোরালো করে। এরই ধারাবাহিকতায় এই আনন্দ মিছিল। শুক্রবার (১৬ মে) প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ দোয়া মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply