আজ ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গণমাধ্যমের ২৯ জন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইউনেস্কো
গণমাধ্যমের ২৯ জন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইউনেস্কো

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় চট্টগ্রামের ২৯ সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিলো ইউনেস্কো-টিআইবি


অনলাইন ডেস্কঃ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ে চট্টগ্রামে কর্মরত জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের ২৯ জন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইউনেস্কো ঢাকা অফিস ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নগরীর কাজির দেউড়ি ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে অংশগ্রহণকারীদের সনদ বিতরণ করা হয়েছে।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রশিক্ষক মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা (বদরুদ্দোজা বাবু)। কর্মশালায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কলা-কৌশল, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির জন্য গল্প বলার কৌশল, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও তা নিরসনের উপায় এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিষয়ক জাতিসংঘের অ্যাকশন প্ল্যান ও দায়মুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার-ইন-চার্জ ড. সুসান ভাইজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম ও সমন্বয়ক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সহ সমন্বয়ক জাফর সাদিক এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের কমিউনিকেশন অফিসার নূরে জান্নাত প্রমা।

কর্মশালার উদ্বোধনে ড. সুজান ভাইজ বলেন, ‘গণমাধ্যম, সাংবাদিকতা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের উন্নয়ন সূচক, সাংবাদিকতার উৎকর্ষ সাধনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ইউনেস্কোর কাজের বিশেষায়িত ক্ষেত্র। যখন থেকে ইউনেস্কো শান্তি-ন্যয়বিচার-মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা শুরু করেছে তখন থেকেই তথ্যের অবাধ প্রবাহ ত্বরান্বিত করণ নিয়ে কাজ করছে। যার ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ‘ইউ এন প্ল্যান অব একশন অন সেফটি অব জার্নালিস্ট’ গ্রহণ করেছে এবং তার বাস্তবায়নে কাজ করছে।’

সমাপনী আয়োজনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘টিআইবি সাংবাদিকদের উৎকর্ষ সাধনে ধারাবাহিক যে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, তারই ধারাবাহিকতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এবারের কর্মশালায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা অন্তভূর্ক্ত করায় এর ব্যাপ্তি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর সব দেশেই সাংবাদিকতা পেশায় ঝুঁকি আছে, এই ঝুঁকি বাংলাদেশেও আছে; একই ঝুঁকি সিভিল সোসাইটির ক্ষেত্রেও আছে। তারপরও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি আশা করি, বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাধীন মত প্রকাশের যে অধিকার আছে সেটি নিশ্চিত করা হবে। তাতে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ আরো বৃদ্ধি পারে।’

বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যের অভাব আছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘সাংবাদিকরা পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করে কাজ করতে পারলে ঝুঁকি অনেক কমে আসবে।’

তথ্যসূত্র: সিভয়েস২৪


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর