বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার ইস্যুতে বাংলাদেশের আন্দোলনের সঙ্গে একযোগ হয়ে কাজ করবে যুক্তরাজ্য। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আন্তরিক এবং নিজস্ব সম্পদ দিয়ে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রম শুরু করেছে।’ আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চারজন সাংসদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্রিটিশ সহায়তার প্রশংসা করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর প্রাথমিকভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ এবং ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের মাধ্যমে জলবাযু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।’
শেখ হাসিনা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘কমনওয়েলথ দেশগুলোর অভিভাবক হিসেবে তিনি সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।’
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা প্রতিনিধি দলটিকে জানান, ‘আগামী নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষক এলেও আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা এসময় জানান, যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা ব্রিটিশ অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। তারা বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়।
এসময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইউক্রেন থেকে যে খাদ্যশস্য, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং ভোজ্যতেল আসতো যুদ্ধের কারণে সেসব পণ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে,’
প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাব।’
ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা এ উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
তথ্যসূত্র: বাসস