আজ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: দেশ রূপান্তর

বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বৌদ্ধমূর্তিটি দেখতে পর্যটকদের ভিড়


পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মিশ্রিপাড়া রাখাইনপল্লীতে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বৌদ্ধমূর্তিটি দেখতে প্রতিদিন পর্যটক-দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ছে। সীমা বৌদ্ধ বিহারে স্থানীদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও পরিদর্শনে আসে। সেই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার দাবি আগত পর্যটকদের।

জানা গেছে, পটুয়াখালীর সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা থেকে সড়কপথে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সীমা বৌদ্ধ বিহার। কুয়াকাটার দশর্নীয় স্থানগুলোর মধ্যে শত বছরের পুরনো মিশ্রীপাড়া সীমা বৌদ্ধ বিহারটি অন্যতম। দক্ষিণ এশিয়ার বড় বৌদ্ধ বিহারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। গৌতম বুদ্ধের এই মূর্তিটির দৈর্ঘ্য ৩২ ফুট। প্রতিদিন হাজারো পযর্টক ভিড় করেন এখানে।

কুয়াকাটা মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার বিহারাধ্যক্ষ উত্তম ভিক্ষু বলেন, প্রায় ১৩০ বছর আগে রাখাইন মিশ্রি মং চৌধুরী সীমা বৌদ্ধ বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ৩২ ফুট উঁচু এ বৌদ্ধমূর্তিটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমূর্তি বলে দাবি করেন রাখাইন সম্প্রদায়। প্রায় দু’একর জায়গা নিয়ে সীমা বৌদ্ধ বিহার। বিহার এলাকায় রয়েছে পানি সংরক্ষণের একটি দৃষ্টিনন্দন কুয়া। সীমানপ্রাচীরঘেরা ফুলের বাগান। সকাল-বিকাল পাড়ার রাখাইন নারী-পুরুষরা বিহার অঙ্গনে ধর্মীয় প্রার্থনা করেন। বিহার এলাকায় করা হয়েছে সবশ্রেণীর শিশুদের জন্য একটি পাঠশালা। গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই শ পর্যটক-দর্শনার্থী বিহার দর্শন করেন। বর্তমানে ২২টি রাখাইন পরিবারের আবাসস্থল মিশ্রিপাড়া এখন আগের চেয়ে দর্শনার্থীর কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে আছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর