আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক কারারুদ্ধ লেখক দিবস। লন্ডনভিত্তিক লেখকদের সংগঠন ‘আন্তর্জাতিক পেন’ ১৯৮১ সালে এই দিবসটি উদযাপন শুরু করে। পৃথিবীর অনেক বড় বড় লেখক, চিন্তাবিদ, দার্শনিক কিংবা মহান কবিদের ক্ষমতাধর শাসকগোষ্ঠী, রাজা বা শোষকদের নিষ্ঠুর বৈরীতা বা রক্তচক্ষুর মোকাবিলা করতে হয়েছে। বহু সুপরিচিত কবির অনেক মহান সৃষ্টি সংশ্লিষ্ট দেশের শাসক কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছে।
সারা বিশ্বে অসংখ্য লেখক প্রতিবছর কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। কারও কারাবন্দি জীবন দশক ছাড়িয়েও যায়। তাই এসব বিপদগ্রস্ত লেখকদের স্মরণ করা এবং তাদের মুক্তির ব্যাপারে জনমত গঠনই এই দিবসটিকে পালনের মূল উদ্দেশ্য। পেন আরও একটি কাজ করে এই দিবসকে ঘিরে। এই কার্যক্রমের প্রতি সহমর্মী ও সমব্যাথী লেখক পাঠক সকলে মিলে দুনিয়ার নানা প্রান্তের বন্দি লেখকদের কারাগারের ঠিকানায় তাদের নামে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠিয়ে থাকে।
দেশে দীর্ঘদিন যাবৎ পেন এর কেন্দ্র কার্যকর থাকলেও এই দিবসটি ঘিরে তাদের তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম আছে কী? আমাদের দেশে এটি মূলত ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকার অভিজাত শ্রেণির প্রতিনিধিত্বই করেছে, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠিত অবসরে যাওয়া, না যাওয়া আমলা-কূটনীতিক-শিক্ষক-সাংবাদিকদের কব্জায় থেকেছে সংগঠনটি, এক ধরনের ড্রইংরুম সর্বস্ব সংস্থার মতই। বিভিন্ন সরকারের আমলে অনেক লেখক দৌড়ের উপর থেকেছেন, কারাগারে গিয়েছেন বিপদগ্রস্ত হয়েছেন।
Leave a Reply