আজ ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দোহাজারী রেন্জ কর্মকর্তার অভিযানে তিন’শ চার একর বনভূমি উদ্ধার


চন্দনাইশ প্রতিনিধি

বন বিভাগের জায়গা দখল হয়ে যাওয়া ও বন উজার হয়ে যাওয়া যেখানে নিত্য দিনের ঘটনা ঠিক এই সময়ে তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের দোহাজারী রেঞ্জ এলাকায়। দোহাজারী রেন্জ কর্মকর্তা সিকদার আতিকুর রহমান তার দায়িত্ব পালনকালে কঠোর অভিযান চালিয়ে দুই বছরে তিন’শ চার একর অবৈধভাবে দখল করে রাখা বনভুমি বনদস্যুদের কবল থেকে দখলমুক্ত করেছেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের দোহাজারী রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসারের তত্ত্বাবধানে এই রেঞ্জের ৪টি বীটের রিজার্ভ ফরেস্ট দিবারাত্রি পরিশ্রমের ফলে রক্ষা পাচ্ছে। পাহাড় কাটা,জায়গা দখল করা ও বন উজার করা নিত্যদিনের কাজ ছিল এই অঞ্চলে। তবে রেঞ্জ অফিসার শিকদার আতিকুর রহমানের দুর্দান্ত অভিযান পরিচালনার কারণে এইসব পাহাড় কাটা, জায়গা দখল করা ও সংরক্ষিত বন নির্বিচারে উজাড় থেকে রক্ষা পাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় এই রেঞ্জের অধীনস্থ বৈতরণী, লালুটিয়া, ধোপাছড়ি ও সাঙ্গু বীট সমূহের আওতাধীন রিজার্ভ ফরেস্ট সমূহ থেকে যেখানে প্রতি নিয়ত বৃক্ষ নিধন হত সেখানে তার দূরদর্শিতার ফলে রক্ষা পাচ্ছে এইসব বীটে হাজার হাজার গাছ। গড়ে তুলেছেন কয়েকটি ফলজ ও বনজ চারার নার্শারী। নার্শারীগুলোতে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে প্রতিটি নার্শারীতে ৬ ফুট অন্তর অন্তর গাছ লাগানো হয়েছে।

এইসব গাছে জৈব সার, রাসায়নিক সার ও খুটি লাগানোর মাধ্যমে পরির্চযা করে বড় করছে বাগান ও নার্শারীতে দায়িত্বরত শ্রমিকরা। বাগানের আশে পাশে গড়ে উঠা উপকার ভোগিদের দিচ্ছে আর্থিক সহায়তায়। এই রেঞ্জে বি,এস রেকর্ড মূলে ১৬৪২৩ একর এলাকা নিয়ে গঠিত দোহাজারী রেঞ্জ অফিস।বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে পাহাড়,বন,বয়ে গেছে সাংগু নদী ও আঞ্চলিক খাল এ যেন প্রকৃতির এক অপরুপ লীলাভূমি। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে দৃষ্টি আটকে যায় যে কারো। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বন্য প্রাণী রক্ষায় অভাবনীয় ভূমিকা রাখছে ওই রেঞ্জ এরিয়া।  ৪৭১৬ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে দুধপুকুরিয়া-ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ফরেস্টার শিকদার আতিকুর রহমান বলেন,জীব বৈচিত্র সংরক্ষণের দায়িত্ব সকলের। বন সংরক্ষণের মাধ্যমে জীব বৈচিত্র রক্ষার পাশাপাশি বনের গাছ সংরক্ষণ করতে হবে নিজেদের স্বার্থে। কারণ গাছ পরিবেশ রক্ষা করে আমাদের অক্সিজেন দেয়। একটি গাছও যেন কেউ কর্তন করতে না পারে সেলক্ষ্যে বন বিভাগের চারদিকে পাহারাদারের ব্যবস্থা করেছি। এই অঞ্চলে ধোপাছড়ি ও দোহাজারী বন বিভাগ নিয় যদি ইকোপার্কে রূপান্তরিত করতে পারে তাহলে এই অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর