আজ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

ভূমি নিয়ে জালিয়াতির কোনো সুযোগ থাকছে না: ভূমিমন্ত্রী


দেশে ভূমি নিয়ে জালিয়াতির আর কোনো সুযোগ থাকছে না বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, বন্ধক দেওয়া জমি একাধিকবার বন্ধক, ক্রয়-বিক্রয় বা নামজারি সংক্রান্ত জালিয়াতি রোধে চলতি মাসেই চালু করা হচ্ছে মর্টগেজ ডাটা ব্যাংক। আজ রবিবার (১৩ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রণালয় ও ভূমি সম্পর্কিত বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, মর্টগেজ ডাটা ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংক, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি অফিস বা নাগরিকগণকে জমির বন্ধক সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে যাচাই করার সুযোগ দেয়া হবে। এতে বন্ধককৃত জমি নতুন করে বন্ধক, ক্রয়-বিক্রয় বা নামজারি করার সুযোগ থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, অর্থ ঋণ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে নামজারি সহজীকরণে বন্ধকি ডাটাবেজকে ব্যবহার করা যাবে। এতে ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনার জন্য তথ্য সংগ্রহ সহজতর হবে এবং ঝুঁকি হ্রাস পাবে। নতুন এই সিস্টেমের কারণে দেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ভূমি কর্মকর্তাদের নাগরিক সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করারা জন্য উদ্বুদ্ধ করতে ভূমিমন্ত্রী বিভাগীয় কমিশনারদের তাগিদ দেন। সভায় ভূমি সচিব জানান, চলতি বছরে প্রথম কোয়ার্টারে অনলাইনে প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। বর্তমানে প্রায় প্রতি মাসে ২ লক্ষাধিক নামজারি আবেদন অনলাইনে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত আবেদনের ভিত্তিতে প্রায় ৬৮ হাজার খতিয়ান এবং ৬০ হাজার জমির ম্যাপ ডাক বিভাগের মাধ্যমে সারাদেশে মানুষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সভায় বিভাগীয় কমিশনাররা ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন, আন্ত:জেলা,উপজেলা সীমানা বিরোধ, ভূমি অফিস সংস্কার, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, জলমহাল ও বালুমহালের ইজারা কার্যক্রম সহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেন।

পরে মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় চিংড়িমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন।

তথ্যসূত্র: বাসস


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর