চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক
সার্জারির আগে রোগীকে অচেতন বা শরীরের কিছু অংশ অবশ করাকে অ্যানেসথেসিয়া বলা হয়। পুরো প্রক্রিয়া ঠিকভাবে করতে না পারলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও দেশে তা চরম অবহেলিত। অনেক সময় চিকিৎসক নন, এমন ব্যক্তিও দিচ্ছেন অ্যানেসথেসিয়া। ফলে ঘটছে নানা অঘটন। তেমন সুযোগ-সুবিধা না থাকায় অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে ৬৫০টির বেশি সরকারি হাসপাতালে অ্যানেসথেসিওলজিস্ট আছেন মাত্র ৬৩৮ জন। অর্থাৎ প্রতি হাসপাতালে একজনেরও কম অ্যানেসথেসিওলজিস্ট রয়েছেন। সারা দেশে অধ্যাপক আছেন মাত্র ১২ জন। সবমিলিয়ে পদ খালি আছে ২৭৬টি।
সরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজারের মতো অস্ত্রোপচার হয়। বেসরকারি হাসপাতালে এ সংখ্যা দুই থেকে তিনগুণ বেশি। কিন্তু দেশে সব মিলিয়ে অ্যানেসথেসিওলজিস্ট আছেন আড়াই হাজারের মতো। প্রয়োজন আরও ৭ থেকে ৮ হাজার।
সোসাইটি অফ অ্যানেসথেসিওলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক দেবব্রত বণিক বলেন, অনেক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গিয়ে দেখবেন, যে অ্যানেসথেশিয়া জানে না সে দিয়ে দিচ্ছে। যেসব দুর্ঘটনা ঘটছে সেগুলোর অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ্যানেসথেসিওলজিস্টরা দায়ী থাকে না।
সার্জারিতে অপমৃত্যু কমাতে অ্যানেসথেশিয়া চিকিৎসক বাড়ানো জরুরি। কিন্তু সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় অ্যানেসথেসিওলজিস্ট হতে আগ্রহ কম।
সোসাইটি অফ অ্যানেসথিওলজিস্টের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কাওছার সরদার, দেশে অ্যানেসথেসিওলজিস্টের সংখ্যা বাড়াতে চাইলে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। তাহলে তরুণ চিকিৎসকেরা এতে আগ্রহী হবে।
Leave a Reply