সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের যথাযথ জবাব দিতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘ডিজিটাল দেশ হওয়ার সুযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উপযুক্ত জবাব দিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করছি। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা নাই বলে কিছু গুজব ছড়ানো হচ্ছে। টাকা নেই বলে অনেকে টাকা তুলে ঘরে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকের থেকে টাকা নিয়ে ঘরে রাখলে চোরের পোয়াবারো, তারা চুরি করে খেতে পারবে। সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছে কেউ কেউ, এদের সঙ্গে চোরের সখ্যতা রয়েছে কি না সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।’
ছাত্রলীগের এবারের সম্মেলনে কমিটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। কমিটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ছাত্রলীগের কাণ্ডারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত তাঁর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্রলীগের নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ছাত্রলীগের সর্ব সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে, আগামী ২৪ তারিখের ভিতরে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আয়োজন থেকেই ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের কথা বলা হচ্ছিল। আবার কেউ কেউ বলছিলেন দিন কয়েক পরে কমিটি ঘোষণা হবে। আজ যখন সম্মেলন শেষ হয়, তখনও কমিটি গঠনের ব্যাপারে কোনো ঘোষণা হয়নি। এদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগকে সু-সংগঠিত করতে চমক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাইরে থেকে আসতে পারে শীর্ষ এক পদ। এমন খবরও চাউর হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রধান এ ব্যাপারে কোনো ঘোষণা দেননি। ঘোষণা আসেনি ছাত্রলীগের নীতি নির্ধারকদের কাছ থেকেও।
পরে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অধিবেশন করেন। যার স্থায়িত্বকাল ছিল মাত্র ১৫ মিনিট। এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অধিবেশনের পর তিনি ছাত্রলীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব করা হবে বলে জানান। প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন ও পাস করার পর সেটি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে। পরে তিনিই যাচাই বাছাই করে কমিটির ঘোষণা করবেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি একইসঙ্গে দেওয়া হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
দলীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য শেষ হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তিনি দ্বিতীয় অধিবেশন থেকে প্রার্থীদের নাম দলীয় প্রধানের (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠাবেন বলে জানান। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একমত কিনা প্রশ্ন করলে সবাই একমত বলে জানান। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ও একই কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীকে সবচেয়ে বড় অভিভাবক আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, আপা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত।
Leave a Reply