আজ ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন যেন একেকটি স্বপ্ন জ্বলে ছাই!


দিদারুল আলম (দিদার)➤চাটগাঁর সংবাদ।

এ যেন এক আগুনের দেশে পরিনত হয়েছে, কখনো ঢাকা বঙ্গবাজারে আগুন কখনো চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে আগুন েকখনো-বা দেশের অন্যত্র আগুন! এইভাবে আগুনে আগুনে নিঃশ্বেষ ভুক্তভোগীরা! একদিকে দ্রব্যমূলের উর্ধগতি, বিশ্বমন্দা, দেশের অর্থনীতি নিম্নগতি সব মিলিয়ে আগুন যেন এই পবিত্র রমজান মাসে আরেকটি মরার ওপর খরার গাঁ! প্রায় ৪ হাজারের ওপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আত্মীয়-স্বজনদের কান্নার বিলাপের মধ্যে অনেক নিখোঁজ ব্যবসায়ীদের কথা শোনা যাচ্ছে তাহলে কি তারাও জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেল?

বলছিলাম রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকাণ্ডের কথা। সদ্য আগুন লাগা রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের সামনে চোখের পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাজারো ব্যাবসায়ী ! তাদের যেন বিলাপ করে কাঁদা ছাড়া আর কিছুই করার নেই! কি আর করবে আগুনের সাথে চোখ আর হাত নিয়ে! যেখানে আগুন নেভানোর সব ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়ে সকল যন্ত্রপাতি নিয়ে আগুন নিভানোর সম্ভব হচ্ছে না- অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার ব্রিগেডের ৫০-টি ইউনিটের।সেখানে দুই চোখে জল নিয়ে বিলাপ করে কাঁদা ছাড়া আর কি-বা করার আছে, এই অসহায় ব্যবসায়ীদের! দুই থেকে তিন ঘন্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি! আগুন ইচ্ছে মতো জ্বলে জ্বলে এই অসহায় ব্যবসায়ীদের দেখিয়ে দিচ্ছে যে দেখো আমি জালালে কেউ আমাকে নিবাইতে পারেনা যতক্ষণ আমি নিজে নিবিনা। আপনারা জানেন এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী সাহায্য কারি-দল একএে কাজ করছে, কিন্তু তবুও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, যে কয়জন ব্যবসায়ী বাঁচতে পেরেছে, আমরা কি তাদের এই স্বপ্ন রক্ষা করতে পেরেছি?।
ব্যবসায়ীরা বিলাপ ভরা চোখের পানি নিয়ে তাদের সপ্ন পুড়তে দেখছে কিন্ত লালিত সপ্ন যেন নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো! সামনে ঈদ, তাই তারা আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব অনেকের কাছ থেকে, কেউ আবার ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে উচ্চ সুদে, ঈদে বেচাকেনা করে তারা দেনশোধ করবে আর তারা লাভবান হবে এই আসা যেন নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো এই আগুন যেন তাদের ভাগ্যকে সাগরের তলদেশে নিমজ্জিত করেদিল তারা আজ ভিক্ষুকের চেয়েও অধম হয়ে গেল! এমনিতে সারা পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষের ছোঁয়া লেগেছে তারওপর আমাদের দেশ ১৭ কোটি মানুষের দেশ রেমিট্যান্স এর উপরে নির্ভর করে চলে, সে দেশে পবিত্র রমজান মাসে যেখানে মানুষের চাহিদা কেনাকাটা সবচেয়ে বেশি করতে হয় ঠিক সে সময় এ আগুন যেন মানুষের মরার ওপরে খরার গাঁ হয়ে দুর্ভিক্ষকে যেন স্বাগতম জানালো। এখানে প্রায় ৪০০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বাঁচাতে পারেনি ফায়ার ব্রিগেডের ৫০ টি ইউনিট,নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী সাহায্য কারি দলও।বাংলাদেশের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো কাপড়ের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার ছিলো এটি !নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না আগুন। আশেপাশের ভবনগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে আগুনের ভয়াবহতা, পুড়ে যাচ্ছে স্বপ্ন; সব হারিয়ে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা,এই রিপোর্ট লেখা শেষ না হতেই খবর পেলাম একটি দোকানও রক্ষা করা যায়নি! সব জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সাথে অনেক দোকানের মালিকও জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে যার হিসাব হয়তো আমরা এখনো পাচ্ছিনা কিন্তু বিলাপ করে কেঁদে কেঁদে অনেক আত্মীয়-স্বজন তাদের আপনজনদের খুঁজে না পাওয়ার কথা বলছেন তাহলে কি এই স্বপ্নের সাথে স্বপ্ন দেখা মানুষগুলোও কি জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেল! আল্লাহ সহায় হোক সকল মানুষের প্রতি,বঙ্গবাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর